গঞ্জালো মন্টিয়েলের পেনাল্টি কিকের সঙ্গে সঙ্গে ‘বিস্ফোরণ’। সেই বিস্ফোরণে লুসাইল স্টেডিয়াম যেন আকাশে উঠে গেল। মানুষগুলো যেন পাগল হয়ে গেল। উল্লাস, সেলিব্রেশন। সেকি উন্মাদনা! সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা চোখ ফেলে গ্যালারিতে। সেই উল্লাসঢেউয়ে ভাসছিলেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। তার মধ্যে চোখ আটকে যায় এক যুবতীতে। তিনি মেসি তথা আর্জেন্টিনার বিজয়কে সেলিব্রেট করতে এমন কাণ্ড করে বসেন, যা প্রত্যাশিত নয়। রক্ষণশীল কাতারে তিনি শরীরের উপরের অংশের পোশাক একেবারে খুলে ফেলেন। উত্তাল জনতার ঢেউয়ের সঙ্গে নাচতে থাকেন।
ক্যামেরায় ধরা পড়ে সে দৃশ্য। মাঠে তখন মেসিবাহিনী কেউ হাসছেন, কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কিন্তু কাতারের স্থানীয় আইন অনুযায়ী, ওই যুবতী শাস্তির আওতায় আসতে পারেন। কারণ, আগেই স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিষেধ করা হয়েছে প্রকাশ্যে নারীর শরীর প্রদর্শন। তাদেরকে কাঁধ থেকে হাঁটু অবধি ঢেকে রাখার অনুরোধ জানানো হয়। কাতারে নারীদের টাইট পোশাক পরা নিষিদ্ধ। শরীরের উপরের অংশের বিশেষ ভাঁজ দেখানো নিষেধ। কাতারের স্থানীয় অধিবাসী নন, এমন নারীদের ক্ষেত্রে আবায়া পরা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। পর্যটকদের এসব ভাঁজ এবং কাঁধ প্রদর্শন নিষেধ। ফলে এবার গøামারাস ‘ওয়াইভস অ্যান্ড গার্লফ্রেন্ড’রা গ্যালারি মাতাতে পারেননি। তাদেরকে ঢেকে রাখতে হয়েছে পুরো শরীর।
ফলে অসংখ্য যুবতী নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন খুব কষ্টে। তাদের কেউ কেউ তো বলেই দিয়েছেন, মেসি এবং আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়কে সেলিব্রেট করতে আমার উন্মুক্ত বক্ষদেশ পোস্ট করবো। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার মডেল ইভানা নোল (২৬) কাতারের এসব আইনকে ড্যামকেয়ার করেছেন। বলেছেন, তিনি খোলামেলা পোশাক পরবেনই, তাতে যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয় হোক।