ম্যাচ শেষে যথারীতি আফসোস আর হা হুতাশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য একটা নিত্য চিত্র। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে টাইগাররা। ম্যাচের পর টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে ঝরে পড়ল আফসোস। কথা বললেন বাজে ব্যাটিং নিয়েও।
আগে ব্যাট করতে নেমে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে মেহেদীর ব্যাটে। ২৪ রান করেন ওপেনার লিটন দাস। ১১ রান করেন বিশ্বকাপে অভিষিক্ত শামীম হোসেন পাটেয়ারী। বাকিদের রান ছিল মোবাইল ডিজিটের মতো। এর মধ্যে তিনজন মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। তারা হলেন সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন ও নাসুম আহমেদ। ডাক মেরেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। তিন বল খেলেও তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এমন ব্যাটিংয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জার রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। পুরো বিশ ওভার খেলতে পারেনি মাহমুদউল্লাহরা। ১৮.২ ওভারে মাত্র ৮৪ রানে প্যাকেট দলটি। জবাবে ৩৯ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেট পতন মাত্র চারটি।
ম্যাচের স্বাভাবিকভাবেই হতাশ টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিংয়ে হতাশা প্রকাশ করলেও সুপার টুয়েলভ পর্বের শুরুর দিকের ম্যাচের কথা স্মরণ করলেন তিনি। যেখানে আশা জাগিয়েও বাংলাদেশ হেরেছিল শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। এই দুটো ম্যাচে জিততে পারলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত বলে বিশ্বাস টাইগার অধিপতির।
তিনি বলেন, ‘প্রথম অর্ধে বল করার জন্য উইকেট ছিল চমৎকার। আমরা মাঝে মোটেই ভালো করতে পারেনি। ব্যাটিংটা হয়ে যাচ্ছে তাই। কিন্তু উইকেট যথেষ্ট সহায়ক ছিল। তাসকিন টুর্নামেন্টে খুব ভালো বল করেছে। তাসকিন ও মুস্তাফিজের মধ্যে আমাদের একজনকে বেছে নিতে হয়েছে। আমরা তাসকিনকে বেছে নিয়েছি কারণ সে ভালো বোলিং করে যাচ্ছিল। এটা খুব হতাশজনক। আমরা দুটি ম্যাচ জিততেও জিততেও হেরে গেছি। আমরা যদি ওই মাচ গুলো জিতততে পারতাম। তাহলে গল্পটা অন্যরকম হতে পারত।’