গর্ভবতী মায়েরাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন। এ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় ডেঙ্গু ভাইরাস খুব দ্রুত মায়ের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গর্ভবতী মায়েদের ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি।
গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গুজ্বর মারাত্মক কেন
গর্ভকালীন দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকার কারণে একদিকে যেমন ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, অন্যদিকে ডেঙ্গু রোগের জটিলতা বা ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে মায়ের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও বেশি।
গর্ভবতী মা ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে মা ও গর্ভস্থ সন্তানের জীবনে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে করণীয়
১. ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করুন, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। স্বচ্ছ পানি জমে থাকে এমন জিনিস যেমন- অব্যবহৃত পাত্র, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার, ভাঙা ফুলদানি ইত্যাদি সরিয়ে ফেলুন।
২. এডিস মশা যাতে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সকালে ও সন্ধ্যার আগে ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন। প্রয়োজনে নেট লাগান।
৩. এডিস মশা সাধারণত ঘরের ভেতর, পর্দার আড়ালে, বিছানার নিচে অবস্থান করে। কাজেই শোবারঘর, বাথরুম, রান্নাঘর– এসব জায়গায় মশাবিরোধী স্প্রে ব্যবহার করুন। তবে স্প্রে করার পর কমপক্ষে ২০ মিনিট ঘরের বাইরে থাকুন।
৪. শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঢেকে রাখুন, প্রয়োজনে পায়ে মোজা পরুন। শরীরের খোলা অংশে মশাবিরোধী তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৫. দিনেরবেলায় বিছানায় বিশ্রাম করলে বা ঘুমালেও মশারি ব্যবহার করুন।
গর্ভবতী মায়ের ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা
ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ দেখা দিলেই গর্ভবতী মাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যদি ডেঙ্গু রোগ নিশ্চিত হয়, তবে গর্ভবতী মাকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।