Tuesday, April 16, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAগর্ভপাত রায়ে কি বিপন্ন অন্য নাগরিক অধিকারও

গর্ভপাত রায়ে কি বিপন্ন অন্য নাগরিক অধিকারও

যুগান্তকারী রায়ে আমেরিকায় অর্ধ শতক ধরে চলে আসা গর্ভপাতের রক্ষাকবচ গত কাল কেড়ে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নানা মহলে তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে দেশ জুড়ে। খোদ দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার জন্য সরকারি স্তরে সব ধরনের চেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কিন্তু রোববারের সেই রায়ের পরে প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আমেরিকার সাধারণ মানুষের আরও বেশ কয়েকটি নাগরিক অধিকার। যার মধ্যে অন্যতম হল গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়া, সমকামী বিবাহ ও সমকামী যৌন সম্পর্ক। ওই রায়ের পরের দিনই, শনিবার ভ্যাটিকানের একটি জমায়েত থেকে পোপ ফ্রান্সিস পরিবার সংক্রান্ত মূল্যবোধ রক্ষায় জোর দিয়েছেন। তার মতে, অনেক দম্পতি ‘পৃথিবীতে নতুন প্রাণ আনতে গিয়ে’ নানা ভয় আর উদ্বেগের জন্য পিছিয়ে আসেন। তাদের ‘স্বার্থপর ইচ্ছা’ দ্বারা চালিত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আমেরিকান সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৩-এর ‘রো ভার্সেস ওয়েড’ মামলার রায় রোববার বাতিল করেছে। যাতে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞেরা জানান, মহিলাদের গর্ভনিরোধক খাওয়ার অধিকার বা সমলিঙ্গে বিবাহ ও যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অধিকার কাড়ার রাস্তা এতে প্রশস্ত হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের অতি দক্ষিণপন্থী বিচারপতি স্যামুয়েল অ্যালিটো অবশ্য এই রায় দিতে গিয়ে অন্য অধিকার কাড়ার প্রসঙ্গ টানেননি। কিন্তু ক্ল্যারেন্স টমাস নামে আর এক বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, ভবিষ্যতে অন্য অধিকার সংক্রান্ত মামলাগুলির রায় নিয়েও পর্যালোচনা হতে পারে। আর সেটা হলে সংবিধানে স্বীকৃত নয়, এমন নাগরিক অধিকারে হাত পড়বে বলেই মনেকরছেন বিশেষজ্ঞেরা।

শুধু টমাসই নন, সুপ্রিম কোর্টে যে কয়েক জন গুটিকয়েক উদারপন্থী বিচারপতি রয়েছেন, তারাও এ রায়ের বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘কারও এটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে সংখ্যাগরিষ্ঠেরা (সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণপন্থী বিচারপতির দল) তাদের সমস্ত কাজ সেরে ফেলেছেন।’’

যদিও সেটা হলে আমেরিকা জুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রায়ের বিরোধিতা করে গর্ভপাতের অধিকার রক্ষায় ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছেন দেশবাসীর একাংশ। যে টেক্সাসে গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন সব চেয়ে কঠোর ছিল, সেখানে আজ শয়ে শয়ে মানুষ কালকের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। একই কারণে আজ রাস্তায় নেমেছেন নিউ ইয়র্ক, আটলান্টা, ডেট্রয়েট, লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহরের মানুষও। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments