দুনিয়ার জীবনে সহায়-সম্পদ মর্যাদার কারণ হলেও আখিরাতের বিচারে তা মর্যাদার বিষয় নয়। জান্নাত পিয়াসী মুমিন তাই দুনিয়াপূজারি হতে পারে না। পার্থিব মোহে সে মোহাচ্ছন্ন হয় না। কেননা মহান আল্লাহ মানুষকে দুনিয়ার প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ বলেন, ‘হে মানবজাতি, নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতএব পার্থিব জীবন যেন তোমাদের ধোঁকায় না ফেলে। আর সেই প্রতারক (শয়তান) যেন তোমাদের আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত না করে। ’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ৫)
আল্লাহভীরু গরিব ও দুর্বল শ্রেণির মানুষ সমাজিকভাবে হেয় হলেও মহান আল্লাহর কাছে মর্যাদাশীল। এ শ্রেণির কারণেই আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের রিজিক দিয়ে থাকেন। সাদ (রা.) নিজেকে নিম্নশ্রেণির লোকদের চেয়ে বেশি মর্যাদাশীল মনে করলে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের দুর্বল লোকদের দোয়ায় তোমাদের সাহায্য করা হয় ও রিজিক দেওয়া হয়। ’ (বুখারি, হাদিস : ২৮৯৬)
রাসুল (সা.) আরো বলেছেন, ‘তোমরা দুর্বলদের মধ্যে আমাকে অন্বেষণ করো। কেননা দুর্বলদের দোয়ার কারণে তোমাদের রিজিক প্রদান করা হয় এবং সাহায্য করা হয়। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৯৪)
তা ছাড়া দুর্বলদের দোয়া ও শপথ মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এমন অনেক লোক আছে, যাদের মাথার চুল এলোমেলো, এরা মানুষের দুয়ার থেকে বিতাড়িত। তবে সে যদি আল্লাহর নামে শপথ করে, তবে আল্লাহ তার শপথ পূরণ করেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ২৭০৩)