Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeলাইফস্টাইলগরমে শিশুর ডায়রিয়া হলে কী করবেন?

গরমে শিশুর ডায়রিয়া হলে কী করবেন?

গরমে শিশু-কিশোরদের ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। দিনে তিন বা এর চেয়ে বেশি বার পাতলা পায়খানা হতে শুরু করলে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়।

শিশুর ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন। 

পরিপাকতন্ত্রে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী সংক্রমণের কারণেই ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এই সময় ব্যাপক হারে ডায়রিয়ার প্রধান কারণ রোটা ভাইরাস, কখনও কখনও নোরো ভাইরাস। পাতলা পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে বা প্রবল জ্বর দেখা দিলে তা ভাইরাস নয়, বরং ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী সংক্রমণের কারণে হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।

ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে এ রোগ হয়। শহরে ট্যাপের পানি অনেক সময় সেপটিক ট্যাংক বা সুয়ারেজ লাইনের সংস্পর্শে দূষিত হয়। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, যেখানে-সেখানে ও পানির উৎসের কাছে মলত্যাগ, সঠিক উপায়ে হাত না ধোয়া, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এ সময় দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাসায় ফ্রিজের খাবারে পচন ধরা ইত্যাদি ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ।

ডায়রিয়া হলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যায় এবং রক্তে লবণের তারতম্য দেখা দেয়। এই দুটোকে রোধ করাই ডায়রিয়ার মূল চিকিৎসা। প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর অন্তত দুই গ্লাস খাবার স্যালাইন পান করুন। সঠিক পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ও হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে এই স্যালাইন তৈরি করতে হবে। 

পাতলা পায়খানার সঙ্গে রক্ত, জ্বর, প্রচণ্ড পেটব্যথা বা কামড়ানো, পিচ্ছিল মল, মলত্যাগে ব্যথা ইত্যাদি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করুন। যথেষ্ট প্রস্রাব হচ্ছে কি না, লক্ষ্য করুন। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, চোখ গর্তে ঢুকে যাওয়া বা জিব ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া পানিশূন্যতার লক্ষণ। এ সব লক্ষণ দেখা দিলে বা বমির কারণে পর্যাপ্ত স্যালাইন না খেতে পারলে শিরায় স্যালাইন দেয়ার জন্য হাসপাতালে যান।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments