জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এদেশের গণমানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রী। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। এখনো তিনি আপোষহীনভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। মিথ্যা মামলায় আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। সরকার তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিবে না। এজন্য আন্দোলন করতে হবে। যার যা অবস্থান থেকে সেই আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।
সোমবার রাজধানীর বাসাবো এলাকায় সবুজবাগ থানা যুবদলের কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের উদ্যোগে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
যুবদলের সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়াকে শুধু রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া নয়, তাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই্ ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিষ্ট সরকার এবং তার অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রন করেন, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন করে, দুদককে নিয়ন্ত্রন করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছেন।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে সেটাকে পাকাপোক্ত করার জন্যই এই সরকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে। যাতে গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন না হয়। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। অচিরেই সেই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করবে। যেখানে জনগণের জয় হবে, মানুষের অধিকারের জয় হবে, দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে।
যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, দক্ষিণের সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান, সদস্য আবুল হাসনাত অনু প্রমুখ।