জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে লন্ডন থেকে ৩০০ মাইল দূরের নিউক্যাসেল এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছেন গুরুতর অসুস্থ দম্পতি। ওই দম্পতির একজন হার্টের রোগী এবং অন্যজন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন।
নিক ওয়াইল্ড এবং তার ৬১ বছর বয়সী সঙ্গী ফিল বারডেন সম্মিলিতভাবে ৮০ বছর চাকরি করেছেন। তারা সেবাখাতে কাজ করেছেন।
কিন্তু বর্তমানে তারা কাজ করতে পারছেন না। সে কারণে তাদের অর্থনৈতিক সহায়তা দরকার।
লন্ডনে সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছিলেন। সে কারণে তারা লন্ডন থেকে অন্য এমন জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন; যেখানে বাসা ভাড়া কম।
বর্তমানে তারা নিজেদের ঘরের আসবাবপত্রের জন্য ও নিজেদের অসুস্থ পোষা কুকুরের জন্য টাকা সংগ্রহে নেমেছেন। এত সংকটের মধ্যেও তারা কুকুরের মায়া ছাড়তে পারেননি।
লন্ডনে বসবাসের জন্য এক রুমের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৮১৯ পাউন্ড। সেখানে নিউক্যাসেলে প্রতি কক্ষের ভাড়া ৩৫০ পাউন্ড। এত অল্প মজুরিতে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয় বলে জনান নিক ওয়াইল্ড।
নিক জানান, অল্প খরচের এলাকায় এসেও তারা বাজারের কম দামি খাবারটাই কিনছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাবার কেনাও সম্ভব হচ্ছে না তাদের।
চলতি বছরের মার্চে চিকিৎসকরা নিকের হার্টে অস্ত্রোপচার করেন। তারা এ কথাও বলে দেন, পাঁচ বছর বাঁচার সম্ভবনা ৪৫ শতাংশ এবং ১০ বছর বাঁচার সম্ভবনা ৩০ শতাংশ। এ কারণে তাদেরকে কেউ কাজেও নিতে চাইছে না।
লন্ডনে থাকা অবস্থায় শারীরিক কারণে তারা ঘর থেকে বের হতে পারতেন না। কোনো প্রতিবেশির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন না। সাহায্য করার জন্যও কেউ ছিল না। এদিকে বিদ্যুৎ খরচ, খাবার খরচ সব মিলিয়ে মনে হতো নরকে বাস করছেন। অনেকে বলতো- নিজে খেতে পাও না, কুকুর কেন পুষছো? তবুও ১০ বছর ধরে তারা কুকুর পুষছেন।
বর্তমানে নতুন জায়গায় নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তাদের চাওয়া অবশ্য বেশি কিছু নয়; কিছু প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তাদের দরকার। টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে তারা সেসব ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন।
সূত্র: ক্রনিকল লাইভ