ক্ষমা চাওয়ার একদিন পরই চিরশত্রু দক্ষিণ কোরিয়াকে হুশিয়ারি দিল উত্তর কোরিয়া।
রোববার সিউলকে হুশিয়ারি দিয়ে পিয়ংইয়ং বলেছে, নিহত দক্ষিণ কোরিয়ার মৎস্য কর্মকর্তার মরদেহ খুঁজতে দেশটির জাহাজগুলো উত্তর কোরিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই অনুপ্রবেশ দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
এ সময় নিহত কর্মকর্তার মরদেহ খুঁজে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হস্তান্তর করতে নিজেরাই তল্লাশি চালাবে বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার মৎস্য বিভাগের এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে উত্তর কোরিয়া সেনারা। উত্তর কোরিয়া বলেছে, তাদের জলসীমায় প্রবেশের পর ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় দিতে না পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ কারণে তার মাথায় ১০টির বেশি গুলি করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গত সোমবার নিখোঁজ হওয়ার সময় ওই ব্যক্তি উত্তর কোরিয়া সীমান্তের ১০ কিলোমিটার অদূরে ইয়োনপিয়ং দ্বীপের কাছে একটি টহল নৌকায় ছিলেন। নৌকায় তিনি জুতা খুলে রেখেছিলেন।
সিউলের সেনাদের অভিযোগ, গুলি করার পরে উত্তর কোরিয়ার সেনারা ওই কর্মকর্তার শরীর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। উত্তর কোরিয়া বলছে, তারা ওই ব্যক্তির শরীর পোড়াননি।
এ ঘটনার পরে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে পাঠানো চিঠিতে বিরলভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ক্ষমা।
তিনি এটিকে লজ্জাজনক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়া এই ঘটনায় যৌথ তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছে।