অনলাইনে সেবা প্রদান করার মুখে সবচেয়ে বড় বাধা ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস’ বা ‘ডিডিওএস অ্যাটাক’। এ ছাড়া আছে হ্যাকারদের তৈরি টুলসের মাধ্যমে সাইটের তথ্য পাচার, ব্যবহারকারীদের আনাগোনার ওপর নজরদারি এবং নানবিধ অ্যাড ট্র্যাকারের স্পাইং। এসব কিছু বন্ধ করার জন্য ‘কমপ্লিটলি অটোমেটেড পাবলিক টুরিং টেস্ট টু টেল কম্পিউটারস অ্যান্ড হিউম্যানস অ্যাপার্ট’ বা ‘ক্যাপচা’ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করছেন সার্ভার পরিচালকরা। সিস্টেমটি খুবই সহজ এবং প্রতিটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই প্রতিদিন একাধিকবার নিজেকে মানুষ প্রমাণ করে তবেই পছন্দের ওয়েবসেবা ব্যবহার করছেন।
অ্যাপল চেষ্টা করছে সিস্টেমটিতে পরিবর্তন আনার। ক্যাপচার বদলে তারা প্রাইভেট অ্যাকসেস টোকেনের মাধ্যমে সার্ভারকে জানাবে ব্যবহারকারী অন্য কোনো কম্পিউটার নয়, মানুষ। পুরো প্রসেসটি ঘটবে ব্যবহারকারীদের অজান্তে, ফলে তাদের সামনে ক্যাপচাও আসবে না, অথচ সার্ভারগুলো থাকবে সুরক্ষিত। ফিচারটি আইওএস ১৬ এবং ম্যাকওএস ভেঞ্চুরা থেকে চালু হবে।
প্রাইভেট অ্যাকসেস টোকেন অপারেটিং সিস্টেমের ভেতরে অবস্থান করবে। সার্ভার সেটি দেখতে চাইবে সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। যেহেতু মনুষ্যব্যবহৃত ডিভাইসের মধ্যেই টোকেনগুলো থাকবে, তাই সার্ভার আর ক্যাপচা দেখাবে না। সিস্টেমটি কার্যকর করতে অ্যাপলের মধ্যেই ক্লাউডফ্লেয়ার এবং ডিজিটালওশেনের সার্ভার সেবার সঙ্গে কাজ করছে।
সিস্টেমটি ক্যাপচার বিরক্তি এড়ানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে বলা হলেও মূলত ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপন রাখতে সাহায্য করবে। ক্যাপচা সিস্টেম ব্যবহারকারীদের আইপি অ্যাড্রেসে কী ব্রাউজার ব্যবহৃত হচ্ছে, কী ডিভাইসে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কোন পেজ থেকে ব্যবহারকারী নতুন পেজে প্রবেশ করছেন—সব তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। পরে সেগুলো চড়া দামে বিক্রিও হয়। প্রাইভেট অ্যাকসেস টোকেনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস ছাড়া আর কোনো তথ্য পাচার হবে না। ফলে গোপনীয়তা রক্ষা পাবে। অ্যাপলের হাত ধরে বাকি সব ডিভাইস নির্মাতারাও একে একে প্রযুক্তিটি ব্যবহার শুরু করলে ভবিষ্যতে আর ক্যাপচার ঝামেলা পোহাতে হবে না।