ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন করে সুইডেন। এর মধ্যেই সম্প্রতি স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের সামনে সুইডিশ রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদানকে বিক্ষোভের অনুমতি দেয় সুইডেন। আর সেখানেই বিক্ষোভের নামে কোরআনে আগুন দিয়ে ইসলাম অবমাননা করেন উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের নেতা রাসমুস পালুদান। এর আগেও গত বছরের এপ্রিলে পবিত্র রমজান মাসে পালুদানের কোরআন পোড়ানোর ঘোষণায় সুইডেনজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।
সুইডেনের এমন পদক্ষেপে ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে সুইডেনবিরোধী বিক্ষোভ। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষনা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, ন্যাটো জোটের সদস্যপদ পেতে সুইডেনকে কোনো ধরনের সমর্থন দেবে না তুরস্ক।
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাটো সদস্যপদের জন্য আমাদের সমর্থন পাওয়ার আশা করা উচিত হবে না সুইডেনের। যারা আমাদের দূতাবাসের সামনে অসম্মানজনক কাজ করেছে, তারা কোনো ধরনের সহায়তা পাবে না। কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান করার অধিকার কারও নেই।’
এর আগে, আঙ্কারায় সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত সফর বাতিল করেছে তুরস্ক। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন করে সুইডেন। সেসময় তুরস্ক বিরোধিতা করলেও, আলোচনার মাধ্যমে সে সংকট নিরসনের পথ তৈরি হয়। তবে সাম্প্রতিক ইসলাম বিদ্বেষী বিক্ষোভের জেরে ন্যাটো জোটে সুইডেনের সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।