যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ’র নির্বাচনে কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ’র নির্বাচনে ৩য় নির্বাচন কমিশনের আবির্ভাব ঘটেছে। সংগঠনের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী রহমান এইচ আরজু এবং সহ সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এ মামুন এক বিবৃতিতে বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে বদ্ধ পরিকর মোশারফ হোসেন সবুজের নির্বাচন নিয়ে নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে এবার তারা আরো একটি অবৈধ নির্বাচন কমিশন গঠন করে। এর আগে ২০১৯ সালে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠিত আশীষ রঞ্জন ভৌমিকের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও নির্বাচনী পরিবেশ নিজেদের অনুকূলে না থাকায় বা পরাজয়ের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে সবুজ গ্রুপ সেই কমিশনকে বাতিল করার চেষ্টা করে এবং আবু নাছেরের নেতৃত্বে গত জানুয়ারীতে আরো একটি কমিশনের জন্ম দেন।
ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন এবং ট্রাস্টীবোর্ড নিয়ে আদালতে মামলা হলে গত বছরের নভেম্বর মাননীয় আদালত কর্তৃক আশীষ রঞ্জন ভৌমিককে প্রধান করে গঠিত নির্বাচন কমিশনকে বৈধ এবং আবু নাছির কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। সেইসাথে আবুল কালামকে প্রধান করে গঠিত ট্রাস্টীবোর্ডকে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বৈধ ঘোষণা করা হয়। একই আদেশে মাননীয় আদালত ২০১৯ সালে স্থগিত হওয়া নির্বাচন পুনরায় চালু করার নির্দেশনা প্রদান করেন। আশীষ রঞ্জন ভৌমিকের কমিশন আদালতের নির্দেশনা অনুসরন করে অসম্পর্ণ নির্বাচন সম্পর্ণ করার কার্যক্রম চালু করেন। সেই অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণের সময়সূচি ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনে প্রার্থিতার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। গত ১ জানুয়ারি যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশন এ তালিকা প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রার্থিরা হলেন : সভাপতি রহমান এইচ আরজু, সহ সভাপতি মোহসিনুর রহমান খান ও নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাঈন উদ্দীন, সহ সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এ মামুন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা, সহ কোষাধ্যক্ষ সাইফুল আলম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ আলম কাজল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, অফিস সম্পাদক মোবারক আলী, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াকুব আলী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নূর আবছার স্বপন, সদস্য আব্দুল করিম, মোহাম্মদ জিয়াউল হক ও মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, আগামী ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী রহমান এইচ আরজু এবং সহ সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এ মামুন জানান, সাবেক সেক্রেটারী সবুজ গ্রুপ আদালতের সেই রায় মানতে অস্বীকার করে। তারা গত ২৬ শে ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা না দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সেই রায়কে পরিবর্তন ও নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিতের জন্য একের পর এক মামলা করতে থাকেন। আদালতে সকল মামলা হারের ফলে সুবিধা না করতে পেরে নির্বাচন বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে পেশী শক্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অন্যান্য সদস্যদের গায়ে হাত তোলা, দাঁত ভেঙ্গে ফেলার হুমকি, জমাকৃত মনোনয়ন পত্র ছিনতায়ের চেষ্টা, ট্রাষ্টী চেয়ারম্যানের গাড়ীতে থুথু মারা, ট্রাষ্টী চেয়ারম্যানের গাড়ী ভাঙ্গা, সমিতির সিসিটিভি ভাঙ্গার মত ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করেন। আর কোন উপায়ন্তু না দেখে ১০ জানুয়ারী জয়নাল মাহমুদের নেতৃত্বে আবারো আরো একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। যা আদালতে তাদের দায়ের করা শুনানীর অপেক্ষায় থাকা মামলার সাথে সাংঘার্ষিক।
সভাপতি প্রার্থী রহমান এইচ আরজু এবং সহ সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এ মামুন বিবৃতিতে বলেন, আশীষ রঞ্জন ভৌমিকদের বিরুদ্ধে আদালতে তাদের করা মামলায় নির্বাচন পিছাতে করোনা মহামারীকে কারণ হিসেবে দেখালেও এখন আবার করোনার মধ্যেই নতুন নির্বাচন ঘোষণা স্ববিরোধী নয় কি? একতরফা নীল নকশার নির্বাচনে নিজেদেরকে জয়ী দেখানোর কূটকৌশল হিসেবে ১৫ জানুয়ারি রাত ৯টায় ঘোষিত তফশীলে ১৭ জানুয়ারী মনোয়নপত্র উত্তোলন, ১৮ জানুয়ারী জমা, ১৯ জানুয়ারী বাছাই ও ২১ জানুয়ারী একই দিনে প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দিন ধার্য রাখা হয়েছে। মাত্র ৪ দিনের মধ্যে ভোট বাদে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন কারো পক্ষে সম্ভব কি? এটা সদস্যদের সাথে তামাশা মাত্র। এই নোংরামি কার স্বার্থে, গত এক বছরেরও অধীক সময় ধরে সবুজ গংদের একের পর এক নোংরামি আর চক্রান্তের বিরুদ্ধে সাধারণ সদস্যেদর ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান হয় বিবৃতিতে।