উত্তর ইনার মঙ্গোলিয়ার কর্মীরা মহাকাশ থেকে ফিরে আসা বীজ লালন করছে। বীজগুলো মহাকাশ ভ্রমণের পর শেন চৌ-১৩ মহাকাশযানের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে।
কেন মহাকাশের বীজ লালন করা হয় এবং মহাকাশের বীজ বলতে কি ঝোঝায়? আসলে খাদ্যশস্যের বীজগুলো মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার পর মহাকাশের বিশেষ পরিবেশের কারণে পরিবর্তন ঘটে। তারপর সে বীজগুলো পৃথিবীতে নিয়ে আসা হয় এবং নতুন প্রযুক্তিতে রোপণ করা হয়। ঐতিহ্যবাহী বীজের তুলনায় এসব বীজ থেকে নতুন ধরণের খাদ্যশস্য তৈরি হয়। তাদের গুণগত মান ও অনেক ভালো হয়।
সম্প্রতি চীনের ‘শেন চৌ-১৩’ মহাকাশযান সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। এর তিনজন নভোচারী সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন ১২ হাজার প্রজাতির বীজ। আজ তাদের মর্তে প্রত্যাবর্তনের একমাস পার হয়েছে। ফলে বীজগুলো বড় হয়েছে। মহাকাশে কোন বীজ তখনই পাঠানো হয়, যখন দেখা যায়, এর স্থিতিশীল জিন আছে এবং সার্বিক অবস্থা ভালো। আর একটি বীজের মহাকাশ ভ্রমণ থেকে ভূমিতে চাষ করা পর্যন্ত সময় লাগে ৪ থেকে ৬ বছর।
১৯৮৭ সালে চীনের প্রথম উদ্ভিদের বীজ মহাকাশে পাঠানো থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ২০০ ধরনের বীজ মহাকাশ বীজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেসব বীজ ২৪ লাখ হেক্টর জমিতে রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে চীন এ ক্ষেত্র সম্প্রসারণের দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ স্থানে রয়েছে। যা ২০ হাজার কোটি ইউয়ান অর্থ আয় করেছে।
মহাকাশ বীজ অন্য বীজ থেকে কয়েক গুণ বেশি উৎপাদনশীল। যেমন, কিছু কিছু বীজের খাদ্যশস্য পাকার সময় কমেছে। কিছু বীজের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে এবং কিছু কিছুর উৎপাদন পরিমাণ বেড়েছে। আমাদের অনেকে নিজেদের অজান্তেই চাল, গম, মরিচ ও শাকসবজিসহ অনেক কিছু খেয়ে থাকি, যে-সব উৎপন্ন হয়েছে মহাকাশ বীজ থেকে! সূত্র: সিআরআই।