শৃঙ্খলা জীবনে শিখতে যদি চাও,
পিপীলিকার সাথে একটু সময় কাটাও।
কাকের মধ্যে যে একতা আছে,
আছে কি সেটা মানুষের মাঝে?
বিশ্বস্ততা কারে কয় দেখতে যদি চাও,
কুকুরের সাথেও একটু সময় কাটাও।
কবুতরের মধ্যে যে স্বচ্ছতা আছে
পাবে না সেটা কোনো মানুষের মাঝে!
মৌমাছির মধ্যে যে সাম্যতা রয়েছে,
দেখেও কী কখনও তা বোধগম্য হয়েছে?
হিংসা, ক্রোধ, আর লোভ-লালসা
মানুষের হৃদয়ে বেঁধেছে বাসা।
নৈতিকতার অবনতি,
দূর করব কী করে?
ছোটবেলায় ন্যাংটা হওয়া নতুন কিছু নয়,
বড় হয়ে সেই ন্যাংটা হতে কেন এত ভয়?
জীবনে হয়েছিল দেখার সেই সুযোগটি।
চোখ দুটি খোলা ছিল,
দেখেছিলাম সবকিছু, ভরেছিলো মনটি।
প্রচণ্ড শীতে গাছগুলোর পাতা যখন ঝরে পড়ে গেল,
দেখে মনে হলো সবকিছু মরে গেছে।
কিছুদিন পরে সেই ন্যাংটা গাছগুলো তুষারে ঢাকা পড়ে
এক অপূর্ব নতুন রূপ ধারণ করল।
মানুষের মুখ ছাড়া কিছুই দেখার উপায় নেই।
বরফ গলে গেল, আস্তে আস্তে শীতের দাপট কমতে শুরু করল।
সূর্যের কিরণ দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে লাগল,
আবার গাছগুলো তার নতুন জীবন ফিরে পেল।
নর-নারী তার দেহের কাপড় হাল্কা পাতলাভাবে পরতে পরতে, কোনো এক সময় সূর্যের আলোকে নিজেদের ন্যাংটা করে, উজাড় করে দিল।
দেখে মনে হলো অপূর্ব এক নিদর্শন
যার মধ্যে রয়েছে জ্বলন্ত জীবন!
এমন একটি দেশে যখন
এসেছিলাম বহু বছর আগে।
দেখেছিলাম যা আমি জীবনে প্রথম,
শেয়ার করবো তার কিছু অনুভূতি এখন।
অন্যরকম অনুভূতি এসেছিল হৃদয়ে,
না দেখলে সারাজীবন কল্পনাই করিতাম,
দেখেছিলাম বলে আজ বলিতে পারিলাম।
সৌন্দর্যের এত রূপ স্রষ্টার সৃষ্টিতে,
জানতাম না জীবনে না দেখিলে দৃষ্টিতে।
সুন্দরীর সৌন্দর্য না দেখিলে জীবনে,
বেঁচে থাকার মানে কী এ সুন্দর ভুবনে?
নিখিলের শোভা যদি না দেখিতে পাই!
বেঁচে থেকে হবে কী বাকিটি সময়?
সুন্দরকে দেখতে সুন্দর মন চাই,
তা না হলে বেঁচে থাকার কোনো মানে নাই।
ধর্মের দোহাই দিয়ে আজীবন ভরে,
তলে তলে করি পাপ কেউ যেন না জানে।
সত্যকে স্বীকার করে চলিতে শিখিলে,
বুঝিতে সহজ হতো ভালোবাসা কারে কয়।
ভালোবাসা যার মাঝে জীবনে আসেনি,
মনে রেখো সে কখনও ভালেবাসতে শেখেনি।
প্রেম-প্রীতি জীবনে আসিবে বার বার,
মরণ হইবে মোদের জীবনে একবার।
ভালোবাসার মধ্যে শুধু রয়েছে ভালোবাসা,
বেঁচে থাকো জীবনে এটাই হোক আশা।
স্রষ্টার সৃষ্ট জীব হয়ে জন্মেছি যখন,
অমানুষ হয়ে যেন না মরি কখন।
গরমে ন্যাংটা নারী আর শীতে ন্যাংটা গাছ,
বিষয়টি বুঝতে কেটেছিল আমার বারোটি মাস।