Friday, July 26, 2024
spot_img
Homeনির্বাচিত কলামকর্মকর্তাদের অহেতুক বিদেশ ভ্রমণের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার

কর্মকর্তাদের অহেতুক বিদেশ ভ্রমণের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার

গত ৮ মে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর একান্ত সচিবের এক পুত্রসন্তানের বিদেশ সফর নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ক্যানসার ইউনিটের জন্য কিছু উপকরণ ক্রয়ের প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শনে (Pre-shipment Inspection) ছয়দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন দুজন প্রকৌশলী, একজন উপসচিব, যিনি আবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং তার পুত্র। সংবাদটি পড়ে মনে খটকা লেগেছে। কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর সীমিতকরণ বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এ সফরের আয়োজন কী করে সম্ভব হলো? কারণ, ২০২২ সালের ১২ মে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের আওতা সীমিত করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের এক্সপোজার ডিজিট, স্টাডি ট্যুর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট, উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, প্রয়োজনে শুধু কৌশলগত কারণে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। ২০২৩ সালের ২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আরও একটি জরুরি পরিপত্র জারি করে। তাতে বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশনায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ, কর্মশালা, সেমিনার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনো বিদেশ ভ্রমণ কর্তৃপক্ষের অত্যাবশ্যকীয় বিবেচিত হলে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে করা যাবে। তবে কিছু শর্ত পূরণসাপেক্ষে বিদেশ সফর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণ; এবং সরবরাহকারী/ঠিকাদার/পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তারা সেবা/পণ্যের গুণগত মান নিরীক্ষা/পরিদর্শন খাতে সীমিত ভ্রমণ করতে পারবে।

সংবাদটি পড়ে সরকারি নির্দেশনার সঙ্গে এ সফর আয়োজনের মিল খুঁজে পেলাম না। অবশ্য এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অতীতে এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে। তাতে জনগণের অর্থের অপচয় হলেও সরকারের ক্ষতি হয়নি। সরকারের এমন অনেক আদেশ ভঙ্গের ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা নেই। মন্ত্রীর একান্ত সচিব সরকারি সফরকারী দলের সঙ্গে পুত্রকে নিয়ে বিদেশ সফর করবেন, এ সিদ্ধান্ত শুধু তার একার নয়। রীতিমতো সরকারি আদেশ জারি করে তিনি তার পুত্রকে যুক্তরাজ্য সফরে নিয়ে যাচ্ছেন। পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, ‘শেরেবাংলা নগর নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল ও দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ক্যানসার হাসপাতাল’ প্রকল্পের আওতায় ক্যানসার ইউনিট স্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু সামগ্রী ক্রয়ের প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শনে যুক্তরাজ্যে একটি কারিগরি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবের স্বাক্ষর করা এ সফরসংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি হয়েছে। ওই অফিস আদেশে উল্লেখ আছে, ১৫ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ছয়দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন তিন কর্মকর্তা এবং একজন কর্মকর্তার পুত্রসন্তান। এ অফিস আদেশ জারি হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ক্যানসার ইউনিটের উপকরণের প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শন একটি কারিগরি বিষয়। এসব উপকরণ সম্পর্কে যাদের কারিগরি জ্ঞান আছে, এ সফরে তাদেরই যাওয়ার কথা। সে কথা বিবেচনা করে যে দুজন প্রকৌশলীকে সফরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদের বেলায় কোনো আপত্তি নেই। তবে এ বিষয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কারিগরি ওই কাজে মন্ত্রীর একান্ত সচিবের যাওয়ার কোনো যুক্তি আছে কি না। ক্যানসার ইউনিটের সামগ্রী বিষয়ে যেখানে তার নিজেরই কোনো দক্ষতা বা সম্পৃক্তা নেই, সেখানে তিনি সন্তানের নাম এ সফরসঙ্গীদের তালিকায় ঢুকালেন কীভাবে? অফিস আদেশে সরকারের কোন বিধান মতে কর্মকর্তাদের নামের সঙ্গে মন্ত্রীর একান্ত সচিবের সন্তানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে? এ বিষয়ে অফিস আদেশ স্বাক্ষরকারী যুগ্ম সচিবকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ফাইল যেভাবে অনুমোদন হয়ে আসে, চিঠি সেভাবেই করা হয়। তিনি অবশ্য আশ্বস্ত করেন, পুত্রসন্তানের খরচ মন্ত্রীর একান্ত সচিবই বহন করবেন। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো অর্থ খরচ হচ্ছে না। যুগ্মসচিবের এ বক্তব্য কতটুকু গ্রহণযোগ্য? কর্মকর্তারা কি চাইলেই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বিদেশ সফরে তাদের সন্তান বা আত্মীয়স্বজনদের সফরসঙ্গী করে নিয়ে যেতে পারেন? তাদের সফরের খরচ নিজে বহন করলেই কি সব জায়েজ হয়ে যায়?

জানা গেছে, মন্ত্রীর একান্ত সচিবের পুত্র সদ্য পড়াশোনা শেষ করে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। ক্যানসার ইউনিটের সামগ্রী সম্পর্কে তার কোনো কারিগরি দক্ষতা আছে কি না স্পষ্ট নয়। অতএব, তাকে সফরকারী দলের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে নিয়ে গেলে সরকারের কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না। এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তারই প্রশ্ন, তাহলে সফরকারী দলের সঙ্গে তার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার উদ্দেশ্য কী? অনেকের ধারণা, যুক্তরাজ্যের ভিসা পাওয়ার সুবিধার জন্য হয়তো তার নামটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন সফর শেষে দেশে ফিরে এলেই হয়। মন্ত্রীর একান্ত সচিবের পুত্রকে কোন যুক্তিতে সফরকারী দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত মানুষের মনে এমন নেতিবাচক ধারণা থাকতেই পারে। এতে দোষের কিছু দেখি না। অতীতে দেখা গেছে, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি দলের সঙ্গে বিদেশ সফরে গিয়ে অনেকেই সে দেশে থেকে গেছেন। এমনকি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সরকারি সফরকারী দলের সঙ্গে ইউরোপ-আমেরিকা গিয়েও দেশে ফিরে আসেননি। অতীতে অনেকে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কিংবা প্রভাবশালী মহলের তদবিরের জোরে সরকারি হজ ব্যবস্থাপনা দলেও নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। দেখা গেছে, হজ শেষে তাদের অনেকে সৌদি আরবে থেকে গেছেন। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কখনো বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করেনি। বরং বাংলাদেশ সম্পর্কে সে দেশে নেতিবাচক ধারণারই জন্ম দিয়েছে। অভিজ্ঞতার আলোকে মন্ত্রীর একান্ত সচিবের পুত্রের যুক্তরাজ্য সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে এখন যারা অন্য কিছু ধারণা করছেন, দেখা যাবে তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

হজ ব্যবস্থাপনা দলের প্রসঙ্গ যখন এলো, তখন এ বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা যাক। প্রতি বছরের মতো এবারও হজ ব্যবস্থাপনা দলে নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, হজে স্বাস্থ্যসেবা দলে ৩ থেকে ৫ লাখ ঢাকা ‘ঘুস’ দিয়ে অনেকেই তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। হজ নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী, একজন স্বাস্থ্যকর্মীর স্বাস্থ্যসেবা দলে একবারের বেশি যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও ‘ঘুস’ অনেকের জন্য তা সহজ করে দিয়েছে। অথচ, মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত তালিকার ১৮৯ সদস্যের একাংশ আগে একাধিকবার স্বাস্থ্যসেবা দলের সঙ্গে হজে গিয়েছেন। কেউ কেউ সাতবারও গিয়েছেন বলে জানা যায়। ঘুস দেওয়ার শর্ত অনুসারে অর্ধেক অগ্রিম দিতে হয়েছে এবং বাকি অর্ধেক দিতে হবে ফেরার পর। এ দুর্নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব ও মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত বলে শোনা গেছে। স্বাস্থ্যসেবা দলের সদস্যরা সরকারি খরচে হজ পালনের সুযোগের পাশাপাশি পদ অনুযায়ী সম্মানিও পেয়ে থাকেন। সর্বনিু পদধারী সদস্য পান ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। জানা গেছে, এ দ্বৈত সুবিধাই অসাধু কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যসেবা দল গঠন নিয়ে বাণিজ্য করার সুযোগ করে দিয়েছে; যে বাণিজ্যে উভয় পক্ষই লাভবান হচ্ছে। এবার স্বাস্থ্যসেবা দলের ১৮৮ জনের মধ্যে ৮৫ জন চিকিৎসক, ৫৫ জন নার্স, ফার্মাসিস্ট ২৪ এবং ওটি/ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ২৫ জন। দেখা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও এ বহরে একটি বিশেষ দলের লোকজনকে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তালিকার ১৪ শতাংশ চিকিৎসক ইসলামিক মিশন নামের একটি এনজিওর সঙ্গে জড়িত। কথিত আছে, এ এনজিওটি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের মতাদর্শী।

হাজিদের সেবার নামে সরকারি খরচে হজে যাওয়া নিয়ে অতীতে অনেক পানি ঘোলা হয়েছে। এতদিন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের কম-বেশি ৩ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিবছর সরকারি খরচে হজ পালন করে আসছিলেন। তাতে প্রতিবছর সরকারের ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হতো। গত আট বছরে সরকারি খরচে হজ করেছেন ২ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি। হজযাত্রীদের সেবার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে হজ প্রশাসনিক দল, প্রশাসনিক সহায়তাকারী দল এবং কারিগরি দল গঠন করে হজের প্রশাসনিক সেবায় সরকারি ব্যয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছে। তাদের কাজই হলো হজযাত্রীদের সেবা দেওয়া। তবে বাস্তবে দেখা গেছে, তাদের অনেকেই হাজিদের সেবা না করে নিজেদের মতো ঘুরে বেড়ান, কেনাকাটা করেন। কর্মচারীদের কেউ কেউ হাজিদের সেবা না করে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সেবা দিতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে, হজের সার্বিক শৃঙ্খলার সমস্যা হয়। তাতে হজযাত্রীদের কোনো লাভ হয় না। তাই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ না করে এ বছর থেকে হজের কাজে অভিজ্ঞ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী বাদে হজ সহায়তাকারী হিসাবে অন্যদের সৌদি আরবে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও বিদেশ যাওয়ার লোভ যেন কোনোভাবেই তাদের পিছু ছাড়ছে না। দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটে ডলারের ওপর চাপ কমাতে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জনগণের করের অর্থে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিদেশ ভ্রমণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সংগত কারণেই প্রশ্ন জাগে-এ ধরনের সফর প্রকৃত অর্থেই সরকারি প্রয়োজনে, না কর্মকর্তাদের প্রমোদ ভ্রমণের জন্য? এতদিন শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের কথা শোনা গেলেও এখন পরিবারের সদস্যকেও সঙ্গী করে বিদেশ সফরের কথা শোনা যাচ্ছে, যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। পণ্যের গুণগতমান যাচাইয়ের নামে কারিগরি দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রীর একান্ত সচিব কীভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হন! তিনি নিজেই যেখানে যোগ্য নন, সেখানে নিজ সন্তানকে কীভাবে সফরসঙ্গী করেন? যে বিদেশ সফরে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া সরকারের কোনো লাভ নেই, জনগণের কোনো উপকার হয় না, তেমন বিলাসী সফরের কোনো প্রয়োজনও নেই। এভাবে অর্থের অপচয় করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারি আদেশ ভঙ্গ করে বিদেশ সফরের নামে জনগণের করের টাকা অপচয় করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? সরকার যেখানে ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করছে, সেখানে এ ধরনের ভ্রমণ অনুমোদন হয় কী করে? এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবও দায় এড়াতে পারেন না।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, কলাম লেখক

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments