সপ্তাহের দ্বীতিয় কর্মদিবসে এক প্রকার বিধ্বস্ত হয়েছে দেশের পুঁজি বাজার। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পতনের গতি আরও তীব্র হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পরদিনই এমন পতন হয়। একদিনই শেয়ার বাজারের পতন হয়েছে ২৭৯ পয়েন্টের মত। দাম বেড়েছে মাত্র ২টি কোম্পানির শেয়ারের। আর সবগুলো কোম্পানির দামই কমেছে রেকর্ড পরিমান। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) (https://www.dsebd.org/) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রথম ৬ মিনিটের লেনদেনে হারায় ১০০ পয়েন্ট। বেলা ১১টায় সূচকটি দেড় শ পয়েন্ট হারায়। ১১টা ১৬ মিনিটে উধাও হয় ২০০ পয়েন্ট। বাজারের এ পরিস্থিতির কারণে জানতে চাইলে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমনিতেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংবেদনশীল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্কে আজ দর পতনের গতি বেশি দেখা যাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে মতিঝিলের বিভিন্ন ব্রোকার হাউজগুলো ঘুরে দেখা গেছে সবার মধ্যে চাপা একটি ভয় কাজ করছে। যার প্রভাব পরেছে পুঁজি বাজারের উপর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিনিয়োগকারী বলেন, এমনিতেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংবেদনশীল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্কে আজ দর পতনের গতি বেশি দেখা যাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
জানুয়ারিতে বড় ধসের পর পুঁজিবাজার জাগাতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় ব্যাংকগুলোকে ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের সুযোগ দেওয়ার পর থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল।
টানা কয়েক দিন লেনদেনের পাশাপাশি সূচক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাও ফিরতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে ফের লেনদেন ও সূচক কমতে শুরু করে।
করোনা আতঙ্কে ১০ বছরে রেকর্ড পতন ভারতের শেয়ার বাজার: করোনা আতঙ্কে একেবারে তলানিতে ভারতের শেয়ার বাজার। সকালে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে পতন শুরু হয় শেয়ার বাজারের। দিনের মাঝেই বাজারের অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে গত দশ বছরের মধ্যে তা সবচেয়ে খারাপ। কারণ, একদিনে এতটা পতন এর আগে কখনই ভারতীয় বাজারে হয়নি।
সকালে বাজার খোলার পর প্রায় ক্রমশই পড়তে পড়তে দুপুরে প্রায় ২,৩০০ অঙ্ক পড়ে সেনসেক্স ৩৫ হাজারের ঘরে চলে আসে। সূচক নিফটি প্রায় ৫৫০ অঙ্ক পড়ে দাঁড়ায় ১০,৪০০-এর আশেপাশে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত পড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হন বিনিয়োগকারীরা।