সংযুক্ত আরব আমিরাত জরুরি ক্ষেত্রে করোনার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। গল্ফটুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য এই জরুরি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দেশটির হেলথ অ্যান্ড কমিউনিটি প্রটেকশন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আব্দুল রহমান আল ওয়েস বলেন, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে কিছু মানদণ্ড পূরণ করে এবং ‘ভ্যাকসিন গবেষক’দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পর ভ্যাকসিনের এই জরুরি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন এমন এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর অনুমোদনপ্রাপ্ত এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি। এর কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জানান মন্ত্রী আব্দুল রহমান আল ওয়েস।
ওয়েস বলেন, ভ্যাকসিনের নির্মাতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনের গুণমান, সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে সমস্ত পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। ‘ফার্স্ট লাইন ডিফেন্স হিরো’দের নিরাপদ রাখতে তাদেরই প্রথম এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নিরাপদ, কার্যকর এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল করোনার এই ভ্যাকসিন। চিকিৎসক দলগুলোর কঠোর তদারকির মাধ্যমে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অব্যাহত রয়েছে।
ওয়েস বলেন, এই পদক্ষেপগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সঠিক পথে এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষা সফল হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গবেষণাটি শুরু হওয়ার ছয় সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ১২৫টি জাতীয়তার প্রতিনিধিত্বকারী ৩১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। চীনা কম্পানি সিনোফার্মের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনটি আরব আমিরাতে ট্রায়াল শুরু হয়।