Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeবিচিত্রকবর দেওয়ার পরও তিনি বেঁচে ছিলেন ৪০ বছর

কবর দেওয়ার পরও তিনি বেঁচে ছিলেন ৪০ বছর

কবর দেওয়ার পরও প্রায় ৪০ বছর বেঁচে ছিলেন এসি ডানবার নামের এক নারী। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও অনেক আগে এ রকম এক ঘটনাই ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনায়।

সাউথ ক্যারোলাইনার ব্ল্যাকভিল শহরে ১৮৮৫ সালে জন্ম নেওয়া এসি ডানবার শৈশব থেকেই মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিলেন। ১৯১৫ সালে একবার মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।

বিজ্ঞাপনপরে চিকিৎসক এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ডানবারকে মৃত ঘোষণা করেন। শেষকৃত্যের জন্য তাঁর মরদেহ একটি কফিনে রাখা হয়। ঘটনার পরদিন ছয় ফুট গর্ত করে ডানবারের কফিনটি সমাধিস্থ করা হয়।

পাশের শহরেই থাকতেন ডানবারের ছোট বোন। বোনের আকস্মিক মৃত্যুর খবর কিছুটা দেরিতে জানানো হয়েছিল তাঁকে। ছোট বোন খবর পেয়ে ছুটে আসেন সমাধিস্থলে। কিন্তু ততক্ষণে ডানবারকে সমাধিস্থ করার কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এসিকে একবার দেখতে সমাধিস্থলে উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করেন তাঁর বোন। অনেক বিবেচনার পর কবর থেকে কফিনটি তোলার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় গির্জা কর্তৃপক্ষ।

কবর থেকে কফিন তোলার পরই সবার চোখ কপালে ওঠে। দেখা যায় কফিনের ঢাকনাটি খোলা। আর ভেতরে এসি ডানবার হাসছেন। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবাই ভয় পেয়ে যান। স্থানীয় গির্জার তিন সদস্য তো এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে তাঁরা কবরে পড়ে যান।

আসলে এসি ডানবার মরেননি। তখনো জীবিতই ছিলেন। মৃগীতে আক্রান্ত হয়ে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস খুবই ক্ষীণভাবে চলছিল। আর এখানেই ভুলটা করেন চিকিৎসক। কবর থেকে ওঠানোর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জানানো হয়, ডানবার জীবিত আছেন। পরে নিজের ভুল স্বীকার করেন সেই চিকিৎসক। এ ঘটনার পর প্রায় ৪০ বছর বেঁচে ছিলেন এসি ডানবার। ১৯৫৫ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়।

তবে ওই ঘটনার পর থেকে ব্ল্যাকভিলের সবাই এসি ডানবারকে সন্দেহের চোখে দেখত। অনেকেই তাঁকে অশরীরী বলে মনে করত। ‘বেরিড অ্যালাইভ : দ্য টেরিফাইং হিস্ট্রি অব আওয়ার মোস্ট প্রাইমাল ফিয়ার’ শীর্ষক গ্রন্থে এ ঘটনা তুলে ধরেন লেখক জ্যান বন্ডসন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments