জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি এএসএম রহমত উল্লাহ ভূইয়াঁ এক বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় সংকটে শেখ হাসিনার বক্তব্যের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের থলের বিড়াল বের হয়ে আসছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বেচেঁ থাকলে আমার পিতার হত্যার সাথে জড়িয়ে বিচার করতেন।
আজ দেশ বিদেশে সর্বমহলের অজানা নয়, আপনি (শেখ হাসিনা) সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য, ন্যায়কে অন্যায়, অন্যায়কে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে দেশের বিচার বিভাগসহ অবকাঠামো সকল প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজ্যত্ব কায়েমের স্বার্থে ভেঙ্গে খান খান করে দিচ্ছেন। আপননি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করছেন। তিনি বলেন, কোন দেশের রাষ্ট্র নায়ক যখন মিথ্যার বেসাতি, অনৈতিক, অনাদর্শিক পথে ধাবিত হয়, তখন সে জাতির জীবনে নেমে আসে চরম দূভোর্গ, হতাশা আর অনিশ্চয়তা।
তিনি বলেন, আপনার পিতার হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমানের বিচার করতেন ভাল কথা? আমার প্রশ্ন হলো আপনার পিতা শেখ মজিবুর রহমান হত্যার সময় সেনাবাহিনীর প্রধান ছিল আপনাদের একান্ত আপনজন কেএম সফিউল্লাহ, রক্ষীবাহিনীর প্রধান ছিল তোফায়েল আহমেদ তারা তখন কি করেছিলেন? আপনাদের বিশ্বস্থ দুই বাহিনীর প্রধান আপনার পিতাকে রক্ষা করতে পারেনি কেন? আজ আপনার পিতার ষড়যন্ত্রকারীরা আপনার কেবিনেটে মন্ত্রী, এমপি সহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আপনার ডানে বামে আছে।
তিনি শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, নারায়নগঞ্জের ত্রাস ওসমান পরিবারের (শামীম ওসমান) দায়িত্ব নিয়েছেন। ভালো কথা । আপনিতো পুরো দেশ বাসীর দায়িত্বে আছেন আবার আলাদা করে ওসমান ফ্যামিলির দায়িত্ব নিতে হবে কেন? এতে আপনি দুটো জিনিস প্রমাণ করলেন প্রথমত: আপনি যে অবৈধভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তার স্বীকৃত দিলেন দ্বিতীয়ত: নারায়নগঞ্জের সাত খুনের দায় থেকে নিজেকে বাচাঁতে নারায়নগঞ্জের ত্রাস সন্ত্রাসী শামীম গংদের পক্ষ অবলম্বন করছেন। জাতির কাছে তা আজ স্পষ্ট। ধিক আপনার দায়িত্বের। যে পুরো দেশবাসীর নিকট সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত এমন একটা পরিবারের পক্ষ নিতে পারে তার এক মুহুর্ত ক্ষমতা থাকার কোন অধিকার নেই।
রহমত উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, নারায়নগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পূর্বে নাকি শামীম ওসমান আপনাকে ফোন করেছিল। কিন্তু আপনাদের দুইজনের মধ্যে কি কথোপকথন হয়েছে জাতি তা জানতে চায়। তিনি বলেন, নারায়নগঞ্জের শামীম ওসমানদের পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে পার পাওয়া যাবেনা। দেশে ত্রুমাগত খুন-খারাবীর জন্য অবশ্যই কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে সেদিন খুব বেশী দুরে নয়।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বলেছেন একটা লাশের পরিবর্তে দশটি লাশের জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় আজ নারায়নগঞ্জে সাত খুন সহ সারা দেশে আপনার পেটুয়াবাহিনী হাজার হাজার মানুষ খুন করছে। আপনি ক্ষমতাতে ঠিকে রাখার জন্য কোন এক সময় বলেছেন, প্রত্যেক জেলায় শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারী আর আবু তাহের এর মতো আমার লোকের প্রয়োজন। তখন ঐসব সোনার ছেলেরা আপনাকে ক্ষমতায় রাখতে পারেনি। এখন আবার র্যাব, পুলিশ দ্বারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পাশাপাশি দলীয় পেটুয়াবাহিনী দিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং সারাটা দেশে ত্রাসের রাজত্ব করে ক্ষমতা ঠিকে থাকার ফন্দি করছেন। সেই সুযোগও জাতি আপনাকে দিবে না। কারণ অত্যাচারীরা বেশীদিন ঠিকতে পারে না এটাই ইতিহাস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে চট্রগ্রাম সাকির্ট হাউজে হত্যা করা হয়েছিল। তখন আপনি কেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ? শহীদ জিয়ার হত্যার দায়ে আপনার ষড়যন্ত্র আছে কিনা দেশ প্রেমিক জনগণ একদিন তা খুঁজে বাহির করবে।
রহমত উল্লাহ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,চৌকস সেনা অফিসার, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের হত্যা, সারা দেশে খুন, গুম করে দেশ-বিদেশে ঘৃন্যতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি গণমানুষের নিকট পরিচিত। দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা,গুম এবং ত্রুমাগত মানবাধিকার লঙ্গনসহ সকল অপরাধের আপনার বিচার দেশের মাটিতে হবে কি? দেশ জাতি সে সময়ের অপেক্ষায়।
