করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন-এর বিরুদ্ধে তাদের তৈরি কোভ্যাক্সিন কাজ করবে কি-না তা নিয়ে গবেষণা করছে ভারত বায়োটেক। আজ মঙ্গলবার তাদের মুখপাত্র এ তথ্য জানান। মডার্নার সিইও স্টিফেন ব্যানসেল যখন সতর্ক করে বলেন, বিদ্যমান কভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলো ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কম কার্যকর হবে। তখনই হায়দ্রাবাদভিত্তিক ফার্মা কম্পানির এমন মন্তব্য এলো।
ভারত বায়োটেক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, কোভ্যাক্সিনটি মূলত উহান ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে ভাইরাসটির প্রথম উদ্ভভ ঘটে। এটি ডেল্টাসহ অন্যান্য ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে। আমরা নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি।
মডার্না, সেই সঙ্গে অন্য দুই শীর্ষ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার বায়োএনটেক এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিনের ওপর এর মধ্যেই কাজ শুরু করেছে- যা বিশেষভাবে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ওপর জোর দেবে। যদি প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলো ওমিক্রনের ওপর ঠিকমতো কাজ না করে এই আশঙ্কায় মডার্না তাদের বুস্টার ডোজকে আরো অনেক বেশি ক্ষমতাধর করার চেষ্টা করবে।
মডার্নার প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা ব্লুমবার্গ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বর্তমান ভ্যাকসিনগুলো ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা ভালোভাবে কাজ করবে তা দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি জানা যাবে। ওমিক্রন ভাইরাসের পুরনো ভেরিয়েন্টের মতো একই স্তরের অসুস্থতা সৃষ্টি করে কি-না, এটি ভ্যাকসিন এবং পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা এড়াতে পারে কি-না তা নির্ধারণের জন্য এখনও গবেষণা চলছে।
নতুন ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে অনিশ্চয়তা বিশ্বব্যাপী শঙ্কা জাগিয়েছে। এর উত্থানের খবর শুক্রবার বিশ্বব্যাপী স্টক থেকে প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার সরিয়ে দিয়েছে। তবে সোমবার কিছুটা শান্তভাব ফিরে এসেছে। এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করা হয় ওমিক্রন। এর মধ্যেই তা এক ডজনেরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
ভারত এখনও ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের খবর দেয়নি। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদকে বলেন, সরকার যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। গত বছরের কঠোর লকডাউন এবং অর্থনৈতিক মন্দার পুনরাবৃত্তি রোধ করার প্রয়াসে বিশ্বজুড়ে দেশগুলো সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে।
যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র- উভয় দেশই তাদের চলমান বুস্টার প্রোগ্রামের ওপর জোর দিয়েছে। যুক্তরাজ্য মঙ্গলবার আবারও দোকানে এবং গণপরিবহনে ফেস মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে।
সূত্র : মিন্ট