২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন মেসুত ওজিল। কিন্তু ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে এক সাক্ষাতের পরই সমালোচনার মুখে পড়েন ওজিল। সে সময় একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন তুর্কি বংশোদ্ভূত এ জার্মান ফুটবলার। তাতে দেখা যায়, এরদোয়ানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দিচ্ছেন তিনি। আর বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি জার্মানরা। জার্মান দর্শকদের ভোটেই ২০১১ সালের পর পাঁচবার জার্মানির বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন ওজিল। রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই জার্মানির বিদায়ে সমস্ত দায় ওজিলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন সাবেক জার্মান ফুটবলাররা। তুরস্ক প্রীতির কারণে হৃদয় দিয়ে মাঠে খেলেননি ওজিল এই অভিযোগ এনে ওজিলকে দল থেকে বাদ দিতে নানা কথা ওঠান তারা।
উগ্র সমর্থকদের কাছ থেকে ঘৃণিত বার্তা ও মৃত্যু হুমকিও পান ওজিল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ওজিল। সে সময় ওজিলের সঙ্গে ঘটা বিষয়গুলো নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)। দুই বছর পর বোধোদয় হয়েছে তাদের। ২০১৮ সালের সেই ঘটনা চলাকালে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়াটা যে তাদের ভুল ছিল সেটা স্বীকার করেছে ডিএফবি।
গতকাল ডিএফবি সাধারণ সম্পাদক ফ্রেডরিখ কার্তিস বলেন, ‘সেসময় ওজিলের সঙ্গে ঘটা বিষয়গুলোতে ডিএফবির পদক্ষেপ না নেয়াটা ভুল ছিল। একটি ছবির কারণে বর্ণবাদের স্বীকার হয়েছিলেন ওজিল। সেসময় তার সঙ্গে দেখাও করিনি আমরা। যেটা উচিত হয়নি।’
জার্মানিতে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ তুর্কী বংশোদ্ভূত যা প্রায়ই দেশটির রাজনৈতিক বিতর্কে ইস্যু হয়ে ওঠে। দেশটিতে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। মেসুত ওজিলের জন্ম জার্মানির গেলজেনকিরকেনে। তিনি তুর্কী বংশোদ্ভূত তৃতীয় প্রজন্মের জার্মান নাগরিক। ২০০৯ সালে জার্মানি জাতীয় দলে অভিষেক তার। জার্মানির জার্সি গায়ে ৯২ ম্যাচে ২৩ গোল ও ৪০ অ্যাসিস্টের কৃতিত্ব ওজিলের।