আর্চারি বাংলাদেশে এখনো খুব বেশি জনপ্রিয় খেলা হয়ে ওঠেনি। তবে হাটি-হাটি করতে করতে খেলাটি ইতোমধ্যেই দেশে এগিয়েছে অনেকদূর। যার প্রমাণ মিলেছে সরাসরি অলিম্পিকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। অলিম্পিকে যদিও বাংলাদেশের আরচাররা এখন পর্যন্ত পদক পাননি। তবে সরাসরি অলিম্পিকে খেলতে পারার যোগ্যতা অর্জন নিঃসন্দেহে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক বড় অর্জন।
অলিম্পিকে না পারলেও বিশ্বকাপে রানার আপ হয়ে রুপার পদক জয় করেছেন দেশ সেরা আরচার রোমান সানা। এবার প্রথমবারের মত পদক এলো এশিয়ান আর্চারিতে। প্রতিপক্ষ দল এবং তার শক্তিমত্তা বিবেচনায় এশিয়ার এ টুর্নামেন্ট বিশ্বকাপের তুলনায় খুব পিছিয়ে নেই। কেননা এ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে অলিম্পিক সোনা জয়ী কোরিয়া। অংশ নিচ্ছে শক্তিাশালী ভিয়েতনাম, ভারতের মতো দেশগুলো।
এশিয়ান আর্চারিতে বাংলাদেশ প্রথম অংশ গ্রহন করে ২০০৩ সালে, ১৩তম আসরে। ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন, ছিল পদকশূন্য। এর আগে ৮ বার অংশ নিলেও কোন পদকের স্পর্শ পায়নি বাংলাদেশ। তবে ইভেন্টটির ২২তম আসরে এবং দেশের ৯ম বারে বাংলাদেশ পেয়েছে একটি রুপার এবং দুইটি তামাসহ মোট তিনটি পদক।
২২তম এশিয়ান আর্চারির শেষ দিনে আজ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল কোরয়িার কাছে পরাজিত হয়ে রুপার পদক জিতেছে রিকার্ভ মিশ্র দলগত ইভেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশের দিয়া সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল জুটি ১-৫ সেটে রিও অলিম্পিকে সোনার পদক জয় করা কোরিয়ার রিও সু জং এবং লি সিউংইউন জুটির কাছে পরাজিত হয়ে সিলভার পদক পায়। এর আগে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম পদক জয় করে বাংলাদেশের আরচাররা।
রিকার্ভ মহিলা দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ (নাসরিন, বিউটি রায় ও দিয়া সিদ্দিকী) ৫-৩ সেটে ভিয়েতনামকে পরাজিত করে ব্রোঞ্জ জয় করে। একই দিন দ্বিতীয় পদক জয় করে নেয় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ (রোমান সানা, মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল ও রাম কৃষ্ণ সাহা) ৬-২ সেটে কাজাখস্তানকে পরাজিত করে ব্রোঞ্জ জয় করে।