Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeজাতীয়এমপি-চেয়ারম্যান হাতাহাতির জেরে উত্তপ্ত দেবিদ্বার, দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

এমপি-চেয়ারম্যান হাতাহাতির জেরে উত্তপ্ত দেবিদ্বার, দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

শনিবার বিকালে জাতীয় সংসদের মেম্বারস ক্লাবে দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় একটি ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং উপজেলা    পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় রাতেই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন। এদিকে আইন প্রণেতা ও জনপ্রতিনিধির এমন আচরণের খবরে হতভম্ব এলাকাবাসী। হাতাহাতির ঘটনায় দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা যায়, ২৬ বছর পর আগামী ২১শে জুলাই দেবিদ্বার উপজেলা সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ওই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কুমিল্লা-৪ আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার, দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুজ্জামানসহ জেলা এবং  উপজেলার প্রায় ২৬ নেতা উপস্থিত ছিলেন।  

তবে এতে উপস্থিত ছিলেন না প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা।  সভার এক পর্যায়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার দাবি তুলেন, এলাহাবাদ ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা দেয়ার। এ সময় সকল সদস্য এক বাক্যে তা সমর্থন করলে কুমিল্লা (উঃ) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী রোশন আলী মাস্টার, সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম সরকারকে সভাপতি হিসেবে এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আক্তারুজ্জামান স্বপনের নাম ঘোষণা করেন।

ওই সময় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ‘কমিটি মানি না’ বলে ঘোষণা দেন। পাশে বসা দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ‘কমিটি সুন্দর হয়েছে’ বললে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনায় শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকরা ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। 

রাতে চেয়ারম্যান সমর্থকরা দেবিদ্বার সদরে মিছিল বের করলে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের মাহবুবুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, সাইফুল ইসলাম বাবু ও মো. সুমনসহ অজ্ঞাতনামা অন্তত ১০ জন আহত হন। ওই সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দেবিদ্বার উপজেলায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম সফিকুল আলম কামাল বলেন, একজন সংসদ সদস্যের কাছ থেকে এমন ন্যক্কারজনক আচরণ আশা করিনি। কুমিল্লা কুমিল্লা (উঃ) জেলা সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন মুন্সী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। কুমিল্লা (উঃ) জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাজী আবুল কাসেম সওদাগর বলেন, জাতীয় সংসদে বসে সংসদ সদস্যরা মানুষের জন্য আইন প্রণয়ন করেন আর আমাদের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে মারামারি করেন।  

উপদেষ্টা এটিএম মেহেদী হাসান জানান, মিটিংয়ের একেবারে শেষ পর্যায়ে একটি ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা দেয়ার প্রস্তাব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। সবার সম্মতিতে কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে এমপি এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান। কুমিল্লা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, সম্মেলন কীভাবে করবে এ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে একটি ইউনিয়নের কমিটি গঠন নিয়ে দু’জন হাতাহাতি করেছেন। পরে আমরা আমরা ঠিকঠাক করেছি। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা পুরো দেবিদ্বার পর্যবেক্ষণে রেখেছি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments