বার্সেলোনা ছেড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এখন লুইস সুয়ারেজের নতুন ঠিকানা। বন্ধু লিওনেল মেসিকে ছেড়ে অন্য ক্লাবে এই মৌসুমে যেতে চাননি সুয়ারেজ। আর ঠিকানা বদলালেও হৃদয়ের বন্ধন ছিন্ন হয়নি। ক’দিন আগেই স্পেন থেকে ব্যক্তিগত বিমানে আর্জেন্টিনা ফেরার সময় জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে সুয়ারেজকেও নিয়েছিলেন মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দু’জনের শুরুটাও হয়েছে একইভাবে। পেনাল্টি গোলে একই দিনে একই রেকর্ড ছুঁয়েছেন দু’জন। দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক এখন মেসি-সুয়ারেজও। ৩৯ গোল করে এককভাবে রেকর্ডটি ছিল ব্রাজিলের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার রোনাল্ডো নাজারিও ডি লিমার।
শুক্রবার লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুর দিনে লিওনেল মেসির সফল স্পটকিকে ১-০ গোলে ইকুয়েডরকে হারায় আর্জেন্টিনা।
একই দিন চিলির বিপক্ষে উরুগুয়ের ২-১ গোলের জয়ে সুয়ারেজও লক্ষ্যভেদ করেন পেনাল্টি থেকে।
স্পটকিক থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে ১৩তম গোল পাওয়ার দিনে উজ্জ্বল ছিলেন না মেসি। পেনাল্টি বাদে লক্ষ্যে মেসির শট ছিল মাত্র একটি। দুটি গোল বানিয়ে দিলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ লাওতারো মার্টিনেজ ও লুকাস ওকাম্পোস। জাতীয় দলের হয়ে ৭১ গোল করে লাতিন আমেরিকার ফুটবলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। ৭৭ গোল নিয়ে সবার উপরে ব্রাজিলের তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির ফরোয়ার্ড পেলে।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডেও সমান্তরালে এগিয়ে চলেছেন মেসি-সুয়ারেজ। দুই বন্ধুই করেছেন সর্বোচ্চ ২২ গোল করে।