রিয়াল টাইম স্ট্র্যাটেজিক গেমের এ যাবৎকালের সেরা গেমগুলোর একটা হলো মাইক্রোসফটের এইজ অব এম্পায়ারস সিরিজ। ১৯৯৯ সালে গেমিং জগতের অন্যতম গেম ‘এইজ অব এম্পায়ারস ২’ প্রকাশিত হয়। এই গেমের মাধ্যমে বেশ দারুণভাবে মধ্যযুগীয় সাম্রাজ্যগুলোর যুদ্ধ করা যায়। শুধু যে ইতিহাস দিয়েই গেমারের মন জয় করা যায় তা কিন্তু নয়, এইজ অব এম্পায়ার ২-এর গেমপ্লে এতটাই সাড়া জাগানো এবং মৌলিক, যে কারণে ২০ বছরের ওপরে টিকে রয়েছে এই সিরিজ।
গেমটির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৯ সালের রিমাস্টারড করা সংস্করণ মুক্তি পায় ‘এইজ অব এম্পায়ারস ২ : ডেফিনিটিফ এডিশান’ নামে। নতুন আপডেটের পর থেকে মধ্যযুগীয় বাংলার ‘পাল’ সাম্রাজ্য নিয়েও খেলা যাবে এখন।
২৮ এপ্রিলে গেমটির নতুন ডিএলসি (ডাউনলোডেবল কনটেন্ট) মুক্তি পায় ‘ডিনাস্টিস অব ইন্ডিয়া’ নামে এবং নতুন তিনটি জাতি নিয়ে খেলা যাবে এখন থেকে। এগুলো হলো—বাঙালি, দ্রাবিড় এবং গুরজারাস। ডেফিনিটিভ সংস্করণে পুরনো সংস্করণের পুরো গেমপ্লে এক রেখে এর ওপরেই আরো অনেক ভালো গ্রাফিকস এবং কনটেন্ট যোগ করেছে, যা গেমটিকে আরো উচ্চ পর্যায় নিয়ে যেতে পেরেছে। ১৯৯৯ সালের সংস্করণটিকে বর্তমান যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে এইচডি গ্রাফিকসেও যেন ভালোমতো চলে সেই উদ্দেশেই ফরগটেন এম্পায়ারস স্টুডিও গেমটির রিমাস্টারড সংস্করণ তৈরি করে। গেমটিতে ঐতিহাসিক জাতিদের নিয়ে খেলা যায় এবং প্রত্যেকটি জাতির কিছু মৌলিক ইউনিট থাকে। ‘বাঙালি’ নামের যে জাতি নিয়ে খেলা যায় সেটিই মূলত ‘পাল’ সাম্রাজ্যভিত্তিক, গেমটিতে এদের মৌলিক ইউনিটটি হলো এক ধরনের ঘোড়ার গাড়ি। তবে ইন্ডিয়ান এক্সটেনশনের জাতিগুলোর একটি মিল হলো তিনটি জাতিই হাতি ব্যবহার করে রক্ষণভাগ এবং আক্রমণ সাজিয়েছে। দ্রাবিড় জাতির মৌলিক ইউনিট হলো তলোয়ারধারী সৈন্য, যেটি গেমটির ‘লং সোরডস্ মেন’ ইউনিটের সমতুল্য। নতুন ডিএলসিতে ক্যাম্পেইন মোডও রয়েছে।
এইজ অব এম্পায়ারস ২ : ডেফিনিটিফ এডিশান গেমটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এবং স্টিম স্টোরে কিনতে পাওয়া যাবে।
খেলতে যা যা লাগবে
প্রসেসর : ইন্টেল কোর ২ ডুয়ো ২.২ গিগাহার্জ বা এর বেশি
র্যাম : ৮ গিগাবাইট
গ্রাফিকস : জিফোর্স জিটি৬৫০/এ এমডিএইচডি ৫৮৫০ বা এর বেশি
৩০ গিগাবাইট খালি জায়গা