উত্তাল হয়ে উঠেছে এফডিসি আঙিনা। বিক্ষুব্ধ শিল্পীরা জায়েদ খানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
শনিবার ভোটাধিকার হারানো ১৮০ জন শিল্পী মিছিল নিয়ে এফডিসি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে স্লোগান শুরু করেন। সমস্বরে তারা ‘জায়েদ খানের পদত্যাগ চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চিৎকারে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষুব্ধ শিল্পীরা জানিয়েছেন, জায়েদ খান তাদের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন। সেই পদ তারা ফেরত চান।
ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন নৃত্যশিল্পী বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে জায়েদ। ২০ বছর ধরে এফডিসিতে আছি। প্রায় ১০০টি সিনেমায় কাজ করেছি। আমার মতো শিল্পীকেও সে বঞ্চিত করেছে। আমি ওর বিচার চাই। ওকে আমি অভিশাপ দিচ্ছি।
এদিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে জটিলতা অবসানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব পেয়েছে নির্বাচনের আপিল বোর্ড। এজন্য শনিবার বিকালে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকের উপস্থিত থাকার কথা।
যদিও জায়েদ খান বৈঠকে অংশ নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। তার দাবি, নির্বাচনের ভোট পুনর্গণনার পর আপিল বোর্ডের মেয়াদ শেষ। তাই তিনি এই বোর্ডের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। এখন দেখার পালা, সব কিছু শেষে আপিল বোর্ড কী সিদ্ধান্ত দেয়।
এদিকে বৈঠক শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে থেকে উপস্থিত হন শিল্পীরা। মিশা-জায়েদের আমলে ভোটাধিকার হারানো শিল্পীরা বেলা তিনটা থেকে সেখানে অবস্থান নেন। কেউ দল বেঁধে, কেউ খালি গায়ে আলপনা এঁকে তাদের অধিকার হরণের অভিযোগ করেন জায়েদের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এই নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নায়িকা নিপুণ। তিনি মাত্র ১৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। ভোটের পর নিপুণ দাবি করেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। জায়েদ টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন। এছাড়া নির্বাচনে জেতার জন্য অপকৌশল অবলম্বন করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন নিপুণ। সেই অভিযোগেরই সুরাহা হওয়ার কথা আজ।
বিকালে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। দুজন পিয়নের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। তাদের মুঠোফোনও বন্ধ।
যোগাযোগ করা হলে জায়েদ খান সংবাদমাধ্যমে বলেন, আজ সরস্বতী পূজা। এমনিতেই সমিতি বন্ধ। আজ পিয়নদের ছুটি। তাই হয়তো তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। আমি এক ঘণ্টার মধ্যে আসব।