সীমান্তের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি কঠিন জীবনযাপন করছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যম এই তথ্য দিয়েছে।
রোববার সুরক্ষিত সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিক উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই ঘটনাকে ‘বিরল ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে। গত কয়েক দশকে নিপীড়ন এবং দরিদ্রতার কারণে উত্তর কোরিয়ার ৩০ হাজারেরও বেশি নাগরিক পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সামরিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি যে ব্যক্তি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় চলে গেছেন তার বয়স ৩০ বছরের মতো। বছরখানেক আগে তিনি উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসেন। রাজধানী সিউলে তিনি খুবই গরীবি জীবনযাপন করতেন এবং পেশায় সেখানে একজন দারোয়ান ছিলেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, লোকটিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিচু শ্রেণীর লোক বলে গণ্য করা হয়েছিল এবং তার উপার্জন ছিল খুবই কম।
এন কে নিউজ দক্ষিণ কোরিয়ার একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছেন, পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি সিউলে নিজের বাড়িতে কঠিন জীবনযাপন করতেন।
পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তি কোনো গুপ্তচর ছিলেন -এমন ধারণাও এই কর্মকর্তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, তার এমন কোনো চাকরি বা পেশা ছিল না যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ বা স্পর্শকাতর কোনো তথ্য তার পক্ষে পাওয়া সম্ভব ছিল।
পালিয়ে যাবার দিন সকালে তিনি তার ব্যবহৃত ম্যাট্রেসসহ সকল জিনিসপত্র ভাগাড়ে ফেলে দেন বলেও খবরে বলা হয়।