Thursday, June 8, 2023
spot_img
Homeধর্মঈমান ও ইবাদত আল্লাহর অধিকার

ঈমান ও ইবাদত আল্লাহর অধিকার

সুস্থ মানব প্রকৃতির দাবি হলো আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা এবং ঈমানের দাবি আল্লাহর শিরকমুক্ত ইবাদত ও আনুগত্য করা। ঈমান ও ইবাদত উভয়টি বান্দার ওপর আল্লাহর অধিকার। মহানবী (সা.) বলেন, ‘বান্দার ওপর আল্লাহর অধিকার হলো তাঁর ইবাদত করা এবং তাঁর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করা। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮৫৬)

উল্লিখিত হাদিস দ্বারা ঈমান ও ইবাদতের পারস্পরিক সংযোগ ও সম্পর্কও প্রমাণিত হয়।মূলত ঈমানের প্রতিফলনই হলো ইবাদত। ইবাদতের মাধ্যমের ঈমান পূর্ণতা লাভ করে। এ জন্য মহানবী (সা.) বিভিন্ন আমলকে ঈমানের অংশ আখ্যা দিয়েছেন। যেমন—তিনি বলেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অংশ। ’

(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২৩)

অন্যত্র বলেছেন, ‘লজ্জা ঈমানের অংশ। ’

(সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৫০০৬)

মুহাদ্দিসরা বলেন, ইসলামের শিক্ষা হলো মুমিনের জীবনের সর্বত্র ঈমানের প্রতিফলন থাকবে। সেটা ইবাদত হোক বা এমন কাজ হোক, যা ইবাদতের গণ্ডিভুক্ত নয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমরা আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার কাছেই সাহায্য চাই। ’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ৪)

ঈমান ও ইবাদতই মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও মানুষকে এ জন্য যে তারা আমারই ইবাদত করবে। আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না এবং এটাও চাই না যে তারা আমার আহার্য জোগাবে। আল্লাহই তো জীবিকা দান করেন এবং তিনি প্রবল, পরাক্রান্ত। ’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৫৬-৫৮)

আল্লাহর অসংখ্য অগণিত নিয়ামত ও অনুগ্রহের বিপরীতে আল্লাহর অধিকার প্রমাণিত হয় যে বান্দা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং ইবাদতে মগ্ন থাকবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কোরো, যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পার। যিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে ছাদ করেছেন এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তার দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফলমূল উৎপাদন করেন। সুতরাং তোমরা জেনেশুনে কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় কোরো না। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২)

আল-মাউয়াতুল আকাদিয়া

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments