ঈদ উদযাপন নিয়ে বিশ্বে ৩ ধরনের মতামত রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো-চাঁদ দেখে রোজা ও চাঁদ দেখে ঈদ। এটার ওপর সৌদি আরবসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশ ঐক্যবদ্ধ।
দ্বিতীয় মতামত হলো-প্রথম যদি কেউ চাঁদ দেখে তাহলে অন্যরা এটা গ্রহণ করতে পারবে শাহাদাত বা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে। অর্থাৎ, পৃথিবীতে যেখানেই চাঁদ দেখা যাক না কেন সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তা গ্রহণ করতে পারবে।
৩য় মতামত হলো-চাঁদ দেখা লাগবে না, হিসাব করবে। যেমন আমরা ফজরের ওয়াক্তে সূর্য দেখি না, ঘড়ি দেখি। জোহরের ওয়াক্তে ছায়া আছলি দেখি না, ঘড়ি দেখি। আছরে ছায়া দেখি না, ঘড়ি দেখি। মাগরিবের সময় সূর্য দেখি না ঘড়ি দেখি।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব মুফতী মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী যুগান্তরকে এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঈদ একটি সামাজিক ইবাদত। উপরের ৩ ধরনের যেকোনো মতামতই ধরেন তা উলামায়ে কেরামের ঐক্য দরকার, জনগণ সচেতন হওয়া দরকার, সরকারের সম্পৃক্ততা হওয়া দরকার। এই তিনটাই আমাদের মাঝে নেই।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট গবেষক শাইখ উছমান গনি বলেন, উপরের ৩ মতামতই ঠিক আছে। এর মধ্যে যেকোনো একটা আমল করলেই হবে। কিন্তু এটা নিয়ে অহেতুক বিতর্ক না করাই ভালো।