হাসি একটা অমূল্য সম্পদ। একজন মানুষ কতটা সুখ-দুঃখ কিংবা স্বাচ্ছন্দে বসবাস করে তা কেবল তাঁর হাসি দেখলেই অনুমান করা যায়। হাসি অনেক প্রকার হয়ে থাকে। তবে আনন্দের হাসি হচ্ছে সবচেয়ে ফলপ্রসূ। মাহে রমজান শেষের দিকে। কেউ হয়ত হাজার টাকার শপিং করেও প্রশান্তি অনুভব করতে পারছে না। আবার কেউ হয়ত ছেঁড়া লুঙ্গি, পাঞ্জাবি পরে ঈদ কাটিয়ে দেবে। হয়তো কারও কাছে অভিযোগও করবে না। ঈদ মুসলমানদের জন্য একটা আনন্দের দিন। সেদিন ধনী-গরিব সবাই এক সাথে ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরে আসে। কেউ হয়তো মনের আনন্দে হাসে, আবার কেউ কস্টের আড়ালে হাসে। পবিত্র ঈদের দিন যেন সবাই সুন্দরভাবে হাসি-খুশি মনে ঈদগাহে যেতে পারে। সেজন্য সমাজে যারা অর্থবান লোক রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হলো, পথশিশু, অসহায়, মিসকিন, বিধবা, ইয়াতিমসহ যারা আর্থিক কষ্টে আছে, চোখের লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারছে না তাদের পাশে দাঁড়ানো। এতে করে সমাজে ভেদাভেদ দূর হয়ে যাবে। ধনী-গরিব সবাই একসাথে বসবাস করতে পারবে। পরিশেষে ঈদের আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করে নিতে পারবে।