ইসলামী আকিদা ও বিশ্বাস মানবী জ্ঞান, বুদ্ধি ও যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে না; বরং তা মানবীয় জ্ঞান-বুদ্ধির অনুকূল। আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, নবী-রাসুল (আ.) সর্বপ্রকার পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত। তারা আল্লাহর ব্যাপারে ও তাঁর নামে যা বলেন তার সবই সত্য। সুতরাং কেউ যদি দাবি করে যে তাদের কথায় এমন কিছু আছে, যা স্পষ্টতই যুক্তিবিরোধী, তবে সে মিথ্যাবাদী; বরং হয়তো তাদের থেকে বর্ণিত বিষয়টি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হবে না, অথবা তাদের বক্তব্যের বিরোধী যুক্তিটি স্পষ্ট হবে না।
(আল-জাওয়াবুস সাহিহ : ৪/৪০০)
তিনি আরো বলেন, ‘ঈমানসহ অন্যান্য বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) যা কিছু বর্ণনা করেছেন তার সবই সত্য এবং তা মানবপ্রকৃতি, সুস্পষ্ট যুক্তি ও জীবনের সঠিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের অনুকূল। তা কোনোভাবেই সুস্পষ্ট যুক্তি ও জীবনের সঠিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের বিপরীত নয়। নবীজি (সা.)-এর থেকে বর্ণিত বিষয়ে তারাই বিরোধ খুঁজে পায় যারা তাঁর অগ্রহণযোগ্য সনদে বর্ণিত অথবা প্রমাণিত নয়—এমন বিষয়কে সত্যায়ন করে। অথবা তারা এমন বিষয়কে যুক্তি মনে করে, যা অজ্ঞতার নামান্তর বা মূর্খতায় আচ্ছন্ন বিষয়কে প্রচ্ছন্ন মনে করে। কেউ যদি দাবি করে রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত বিষয় যুক্তিবিরোধী, তবে তা হবে মহানবী (সা.)-এর ওপর মিথ্যারোপ। অথবা সে শব্দ দ্বারা যা উদ্দেশ্য নিয়েছে তা শব্দের উদ্দেশ্য নয়। ’ (আর-রিসালাতুল আরশিয়্যা, পৃষ্ঠা ৩৫)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়্যা