ইসরাইলের নৃশংস হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল, হাসপাতালও। গাজার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল ফখুরা স্কুলে এবং তাল আল-জাতারে দ্বিতীয় আরেকটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। অনলাইন জিও নিউজ জানাচ্ছে এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ মানুষ। এর মধ্যে বহু শিশু আছে। অন্যদিকে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা খালি করে দিতে বাধ্য করে ইসরাইলি সেনারা। অনলাইন আল জাজিরা বলছে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কোনো চুক্তি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছা গেছে এমন খবর দেয় ওয়াশিংটন পোস্ট। তারপর হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানান, এখনো চুক্তি হয়নি। গাজায় অবস্থিত হামাস নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে, গাজায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১২,৩০০। এর মধ্যে কমপক্ষে ৫০০০ শিশু।
৩৩০০ নারী। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০,০০০ মানুষ। ওদিকে গাজায় স্টাফদের বহনকারী ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) গাড়িবহরে ইসরাইলের ইচ্ছাকৃত হামলার নিন্দা জানিয়েছে সংস্থাটি। এই হামলায় একজন কর্মীর আত্মীয় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্য একজন। ওই বহরে ছিল ৫টি গাড়ি। তাতে করে ১৩৭ জন স্টাফ ও তাদের পরিবারকে বহন করা হচ্ছিল। এ সময় এমএসএফ অফিসের কাছে শনিবার তাতে হামলা চালানো হয়। ওই অফিসটি আল শিফা হাসপাতালের খুব কাছে। গাড়িগুলোতে পরিষ্কারভাবে এমএসএফ চিহ্নিত ছিল। এর ছাদেও এই লেখা ছিল। গাড়িবহর বের করার আগে তারা ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং হামাসকে বিষয়টি অবহিত করে। এমএসএফ বলেছে, ওয়াদি গাজার কাছে সর্বশেষ চেকপয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিল গাড়িবহর।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে তথ্য শেয়ার করা সত্ত্বেও তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে চেকপয়েন্ট অতিক্রম করতে দিচ্ছিল না। এরপরই আমাদের স্টাফরা গুলির শব্দ পান। তারা ভয়ে পিছু হটেন। এক পর্যায়ে তারা এমএসএফ চত্বরে ফিরে যান। চেকপয়েন্ট থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। ফেরার পথে স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে চারটার মধ্যে আল ওয়েহদা সড়কের কাছে গাড়িবহরে হামলা করে ইসরাইল। এতে এমএসএফের দুটি গাড়িতে আঘাত লাগে।