কর্ণফুলী গার্ডেনে চুরি
কাকরাইলের কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিতে দুই সোনার দোকানে চুরি করতে আসা দুই চোর আগে বরিশাল-ফরিদপুরের গ্রামে চুরি করতো। বড় চুরি করতে আসে ঢাকায়। শাহীন মাতব্বর ও শৈশব রায় সুমনকে এই চুরির কাজে সহায়তা করে তাতীবাজারের এক সোনা ব্যবসায়ী উত্তম কুমার সুর। চুরি করা অলংকারের মধ্য হীরার অলংকার চোরেরা নকল ইমিটেশন ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়।
এই তিনজনকেই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করেছে। গত ২৬শে ডিসেম্বর ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তার দেয়া তথ্যে বরিশাল থেকে শৈশব ও শাখারীবাজার থেকে উত্তম কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুই দোকানে চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৭০০ ভরি সোনা চুরির অভিযোগ করা হলেও তিনজনের কাছ থেকে ২২১ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।
চুরি করে পালানোর সময় কিছু সোনা রাস্তায় পড়েছে এবং হীরার অলংকারগুলো নকল ভেবে কিছু অলংকার চোরেরা ফেলে দিয়েছে বলে ডিবিকে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
গত ১৮ই ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি মার্কেটের পেছনে একটি নির্মাণাধীন ভবন দিয়ে উঠে মার্কেটের এডজাস্ট ফ্যান খুলে মার্কেটের ভেতরে ঢুকে।
এই চুরির ১৫ দিন আগে গ্রাম থেকে এসে পুরান ঢাকার কল্পনা বোর্ডিং নামে একটি আবাসিক হোটেলে উঠে। সেখান থেকেই কোন মার্কেট বা প্রতিষ্ঠানে চুরি করা যায়, তা রেকি করছিলেন শাহীন ও শৈশব। তাদের থাকা খাওয়াসহ যাবতীয় সহায়তা করে উত্তম কুমার সুর।
হাফিজ আক্তার বলেন, চোরেরা বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে কর্ণফুলীর সিকিউরিটির দুর্বলতা দেখতে পান। ঘটনার চারদিন আগেও একবার এটেম্প নিয়েছিল। কিন্তু পারেনি। পরে ১৮ই ডিসেম্বর চুরি করে তারা।
চোরেরা পালানোর সময় কিছু সোনাসহ একটি ব্যাগ রাস্তায় পড়ে যায় বলে চোরেরা ডিবিকে জানিয়েছে। কেউ সেই সোনা পেয়ে থাকলে নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার।