পাকিস্তানের লাহোরে দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পুলিশ ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চললেও এখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলটির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী।
লাহোরে ইমরান খানের জামান পার্কের বাসাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ, ইতোমধ্যে তাদের শক্তিও বাড়ানো হয়েছে। পিটিআই সমর্থকরা মঙ্গলবার রাজনৈতিক রাজধানী সহ – প্রধান শহরগুলোর কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ করেছে এবং ইমরানকে গ্রেপ্তার করার জন্য কর্তৃপক্ষ ক্রুদ্ধ জনতার মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ইমরানের সমর্থকরা পুলিশ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।
পুলিশ পিটিআই প্রধানের জামান পার্কের বাসভবনের গেটের কাছে পৌঁছানোর পরে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলে তারা মল রোডের দিকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। নিরাপত্তা বাহিনী, যারা ইমরানের জন্য জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য সেখানে ছিল, দলের অনুগতদের কাছ থেকে একটি দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল। দলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল সমর্থক ও কর্মীদের বাসভবনের বাইরে জড়ো হতে এবং ‘শান্তিপূর্ণ থাকার’ আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে ইমরান খান বুধবার ভোরে তার সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতায় বলেছেন, তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা আরো জোরদার হয়েছে। এক ভিডিও বার্তায় ইমরান খান মঙ্গলবারের সংঘর্ষকে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন, পুলিশ ‘আমাদের লোকজনের ওপর যেভাবে হামলা চালাচ্ছে, তার কোনো নজির নেই। অল্প কয়েকজনের ওপর এভাকে কেন হামলা চালানো হবে?’
ইমরান বলেন, বিশৃঙ্খলা এড়াতে তিনি একটি আন্ডারটেকিং দিয়েছেন এলএইচসিবিএ সভাপতিকে। তিনি এটি তাকে গ্রেফতার করতে আসা ডিআইজিকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ডিআইজি এলএইচসিবিএর সভাপতির সাথে সাক্ষাত করেননি। তিনি বলেন, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ৭৬ অনুযায়ী, এ সিকিউরিটি বন্ড গ্রেফতার করতে আসা অফিসারকে দেয়া হলে, তিনি গ্রেফতার করতে পারেন না।
এদিকে আজ বুধবার সকালেও জামান পার্কে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। ইমরানকে পুলিশ তোষাখানা মামলায় গ্রেফতার করতে চাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও এই একটি ছাড়া বাকি সবগুলোতে তিনি উচ্চতর আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। সূত্র: ট্রিবিউন।