ইন্দোনেশিয়ায় শ্রীবিজয়া এয়ারের একটি বিমান উড্ডয়নের পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শনিবার বিকেলে দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে পশ্চিম কালিমানতান প্রদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। এরইমধ্যে সেখানকার জেলেরা কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। তবে তা ধ্বংস হওয়া বিমানেরই কিনা তা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনার পরপরই ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদিতা ইরাবতী একটি বিবৃতি দেন। আলাদা বিবৃতি দিয়েছে শ্রীবিজয়া এয়ারও। তবে এটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানায়নি সংস্থাটি। বিবৃতিতে তারা বলেছে, বিমানটির স¤পর্কে সব ধরণের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কিছু জানাতে চায়না। বিমানটিতে ৫৬ জন যাত্রী এবং ৬ ক্রু সদস্য ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১০ শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের পূর্বে এক মিনিটের মধ্যে ১০ হাজার ফিট উচ্চতা হারিয়েছিল বিমানটি। জাকার্তা বিমানবন্দর ছাড়ার ১০ মিনিটের মাথায় এই ঘটনা ঘটে। হিসেব অনুযায়ী ৯০ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা ছিল বিমানটির। ফলে বিমানটিযে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা অনেকটাই নিশ্চিত। বিমান বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে বোয়িং এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা জাকার্তায় বিমান নিখোঁজের খবর পেয়েছি। আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে অবস্থা পর্যবেক্ষন করছি। আরো তথ্য উদ্ধারের জন্যও কাজ করছি আমরা।
স্থানীয় সরকারের এক কর্মকর্তা ক¤পাস টিভি নামের এক চ্যানেলকে জানিয়েছেন, সাগরে জেলেরা বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে। আমরা ধারণা করছি এটা ওই বিমানেরই। আমরা কিছু তার ও জিন্স পেয়েছি। এছাড়া, অন্য জেলেরা আরো কিছু ধাতব পাত পেয়েছে সাগরে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিমানটি ২৭ বছরের পুরোনো ছিল। যজগব সুকর্ন-হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ছিল বিমানটি তখন সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে বিমানবন্দরে যাত্রীদের উদ্বিগ্ন সজনদের দেখা যাচ্ছিল। তাদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের একটি বিমান ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৮৯ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
