Saturday, April 1, 2023
spot_img
Homeধর্মইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পাঁচ রমজান-সংস্কৃতি

ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পাঁচ রমজান-সংস্কৃতি

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় রমজানকে স্বাগত জানানো হয় বর্ণিল আয়োজনে। রমজান উদযাপনেও আছে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। যদিও এগুলোর ভিত্তি ইসলামী শরিয়তে পুরোপুরি খুঁজে পাওয়া যায় না। ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় কিছু রমজান সংস্কৃতি তুলে ধরা হলো—

১. মিউগ্যাং : মিউগ্যাং ইন্দোনেশিয়ার অচেহ প্রদেশের একটি জনপ্রিয় রমজান সংস্কৃতি।

তা হলো রমজানের শুরুতে পরিবারের সবাই মিলে গোশত খাওয়া। ধারণা করা হয়, অচেহ সালতানাতের সময় থেকে মিউগ্যাং প্রথার সূচনা হয়। সুলতান ইস্কান্দার মুদা এই রীতির প্রবক্তা। তিনি তাঁর কর্মচারীদের নির্দেশ দেন কিছু গরু জবাই করে দরিদ্র মানুষের ভেতর বিতরণ করে দিতে। খ্রিস্টীয় ১৬ ও ১৭ শতকে অচেহ দারুস সালাম সালতানাত ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইসলামী সাম্রাজ্য। বর্তমানে রমজান মাস শুরু হওয়ার দুই দিন আগে মিউগ্যাং উদযাপন করা হয়।

২. নাইরং : জাকার্তার ‘বিটাভি’ সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতি। পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে এই সম্প্রদায়ের লোকেরা রমজানে পরস্পরকে গোশত, পিঠা, মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন প্রকার তৈরি খাবার উপহার দিয়ে থাকে।

৩. পাডুসান : জাভা অঞ্চলের রমজান সংস্কৃতি পাডুসান। তা হলো রমজানের আগে মসজিদের পুকুরে সম্মিলিত গোসল। বর্তমানে মসজিদের পুকুরের পরিবর্তে বাড়িতেই গোসল করে মুসলিমরা। ওয়ালি সানগার সময় থেকে পাডুসান প্রচলিত। এটা করা হয় শরীর, মন ও আত্মার পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে। অতীতে মানুষ ঝরনাধারায় গিয়েও এই গোসল করত। ঝরনার পানিতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখত। তারা প্রার্থনা করত, আল্লাহ যেন ঝরনার পানির মতো তাদের দেহ-মনকে নির্মল করে দেন। প্রথম হামেংকু বুয়োনোর সময়ে রাজপ্রাসাদের নির্বাচিত পুকুরে পাডুসানের আয়োজন করা হতো।

৪. বাগারাকান সাহুর : ইন্দোনেশিয়ার সাউথ কালির কাটুবারুর অঞ্চলে যুবকরা শেষ রাতে মানুষকে সাহরি খাওয়ার জন্য ডেকে দেয়। সাধারণত তারা সুরে সুরে ছন্দবদ্ধ বাক্যে মানুষকে সাহরির জন্য জাগিয়ে তোলে। এই সময় যুবকরা বোতল, গ্যালন ও ক্যান বাজায়।

৫. ইলা ইলা উৎসব : কয়েক শতাব্দী ধরে ইন্দোনেশিয়ার টার্নেট অঞ্চলে ইলা ইলা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। যেখানে মুসলিম লাইলাতুল কদরকে স্বাগত জানায় এবং তার বরকত লাভের চেষ্টা করে। তা হলো কদরের রাতে স্থানীয় মুসলিমরা মশাল, টর্চলাইট, মিষ্টান্ন ও সুগন্ধি নিয়ে বের হয়। তারা মশাল জ্বালিয়ে লাইলাতুল কদরকে স্বাগত জানায়, সুগন্ধি ছিটিয়ে তাঁর সৌরভ ছড়িয়ে দেয় এবং মিষ্টান্ন বিতরণ করে পরস্পরকে অভিনন্দন জানায়।

সূত্র : জাকার্তা পোস্ট

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments