রাউজানে ২৮ নভেম্বর আর নির্বাচন হচ্ছে না, উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ১৪ ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ সব সদস্য একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো উপজেলায় চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে সব প্রার্থীই একক মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সবাই একক প্রার্থী হওয়ায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন তারা।
রাউজানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া আওয়ামী লীগের ১৪ ইউপি চেয়ারম্যান ও ১২৬ জন পুরুষ ও ৪২টি সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যদের সবাই একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বৃহস্পতিবার প্রত্যাহারের শেষ দিনে কোনো প্রার্থী প্রত্যাহার না করায় ১৮২টি পদের সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এতে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন- হলদিয়া ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, ডাবুয়া ইউনিয়নে আবদুর রহমান চৌধুরী, চিকদাইর ইউনিয়নে প্রিয়তোষ চৌধুরী, গহিরা ইউনিয়নে নুরুল আবছার বাশি, বিনাজুরী ইউনিয়নে রবীদ্রলাল চৌধুরী, রাউজান সদর ইউনিয়নে বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, কদলপুর ইউনিয়নে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, পাহাড়তলী ইউনিয়নে মো. রোকন উদ্দিন, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নে লায়ন সাহাবুদ্দিন আরিফ, উরকিরচর ইউনিয়নে সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, নোয়াপাড়া ইউনিয়নে বাবুল মিয়া, বাগোয়ান ইউনিয়নে ভূপেষ বড়ুয়া, নোয়াজিষপুর ইউনিয়নে এম সরোয়ার্দী সিকদার। তবে এদের মধ্যে কদলপুর, নোয়াপাড়া ও বিনাজুরী ছাড়া সবাই বিগত সময়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে পুরুষ ও মহিলা সদস্য পদে ১৮২টি পদের সবাই বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। এরা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উদয় অরুণ ত্রিপুরা বলেন, রাউজানে ১৪ ইউপি চেয়ারম্যানসহ সবাই একক প্রার্থী হিসেবে যাচাই-বাছাইয়ে টিকে যান। পরে এদের মধ্যে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৫টা পর্যন্ত প্রত্যাহার না করায় সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হলেন।