বয়স সবে ২৪ বছর। এই বয়সেই গত বছর ইউটিউব থেকে আয় করেন পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ডলার। প্রতি মাসেই তাঁর আয় পাঁচ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এত কিছুর পরও ইউটিউবের শীর্ষ সাবক্রাইবারদের তালিকায় ছিলেন না ‘মিস্টারবিস্ট’খ্যাত জিমি ডোনাল্ডসন।
কনটেন্ট নির্মাতাদের মধ্যে দীর্ঘ এক দশক ধরে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যার বিচারে ইউটিউবারদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন ফেলিক্স কেজেলবার্গ ওরফে ‘ফিডাইফি’। এবার সুইডিশ এই ইউটিউবারকে হটিয়ে শীর্ষস্থানের মুকুট দখল করে নিয়েছেন জিমি ডোনাল্ডসন। নিজের ইউটিউব ভিডিওতে উপহার ও পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থসম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার জন্য আলাদা খ্যাতি আছে মিস্টারবিস্টের। তবে গত বছরই নিজের দাতব্য কর্মকাণ্ডকে আলাদাভাবে উপস্থাপনের জন্য নতুন চ্যানেল চালু করেছিলেন ডোনাল্ডসন। দুই বছর না ঘুরতেই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে এক কোটি।
২০১৩ সালে গেমিংকে পুঁজি করে ইউটিউব চ্যানেল খুলে খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় ফিডাইফি। ২০১৯ সালে চ্যানেলটি পেয়ে যায় ১০ কোটি সাবস্ক্রাইবার। ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফরমে ১০ কোটি সাবক্রাইবার পাওয়া প্রথম চ্যানেল হিসেবে সে সময় রেকর্ড গড়ে ফিডাইফি। তবে গত দুই বছরে আশানুরূপ বাড়েনি তাদের সাবক্রিপশন সংখ্যা। এই সুযোগে চলতি মাসে মিস্টারবিস্টের মূল ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১১ কোটি ২০ লাখ। বেশ কয়েক লাখ সাবস্ক্রাইবার কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে এখনো বহাল তবিয়তেই আছে ফিডাইফি। তবে ইউটিউবে এখন ২০০ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার নিয়ে সব ক্যাটাগরির শীর্ষেই আছে ভারতীয় মিউজিক ভিডিও প্রকাশনা সংস্থা টি-সিরিজ। কনটেন্ট নির্মাণকারী চ্যানেল হিসেবে ফিডাইফি ও মিস্টারবিস্টের মধ্যে বন্ধুসুলভ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও টি-সিরিজ যখন সব ক্যাটাগরির শীর্ষে চলে যায় মিস্টারবিস্ট প্রকাশ্যেই তখন ফিডাইফির পক্ষ নিয়েছিল। বছর চারেক আগেও শীর্ষ ইউটিউব চ্যানেলের মালিক ছিল ফিডাইফি। ওই সময় শীর্ষস্থান নিয়ে টি-সিরিজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয় তার। এ নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নেট দুনিয়ায়।