অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড। টানা দুই হারের পর ইংলিশদের দলীয় ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর সাবেক অজি ওপেনার এডওয়ার্ড কাওয়ান বলছেন, ‘গত ২০ বছরে অস্ট্রেলিয়া সফর করা ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বাজে দল এটি।’
অ্যাডিলেডে ডে-নাইট টেস্টে হারের পর বোলারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করান ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। পেসারদের দোষ দিয়ে বলেন, তারা সঠিক লেন্থে বল করতে পারেনি। তাদের আরো ফুলার লেন্থে বল করা উচিত ছিল। কিন্তু দলের অভিজ্ঞ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড প্রথম দিনের খেলা শেষে বলেছিলেন, ফুলার লেন্থে বল করলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা আরো সহজেই রান তুলে ফেলতো। কারণ, উইকেট তেমনটা করার উপযুক্ত ছিল না। এছাড়া ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ জন লুইস একাদশে একজন জেনুইন স্পিনার না নেয়ার আক্ষেপ করে বলেন, বল ঘুরছিল।আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল ফ্লাডলাইটের নিচে বল আরো ঘুরতো। এসবের প্রেক্ষিতে বলতে পারেন আমাদের একটা ভিন্ন দল নিয়ে নামা উচিত ছিল। কিন্তু প্রধান কোচ ও নির্বাচক ক্রিস সিলভারউডের মন্তব্যের সঙ্গে আবার লুইসের কথার মিল পাওয়া যায়নি। ম্যাচের পর সিলভারউড বলেন, একাদশ সাজানো ঠিকই ছিল। এমনকি পরের ম্যাচেও একই দল নিয়ে খেলার পক্ষে বলেছেন সিলভারউড।
কোচ-খেলোয়াড়দের পরস্পর বিপরীতমুখী বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ড দলের ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এসবের সুযোগ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দিতে যা যা বলার তা বলে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেকরা। রিকি পন্টিং রুটের নেতৃত্ব নিয়ে বলেছেন, ‘দলের বোলারদের যদি প্রভাবিতই না করতে পারো তাহলে কিসের অধিনায়ক তুমি? তারা কথা না শুনলে বসিয়ে দাও, সহজ হিসাব। এমন কাউকে সুযোগ দাও যে তোমার কথা শুনবে, তোমার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবে। অথবা মাঠে তাদেরকে জোর গলায় বলো যে তাদের থেকে তুমি কী চাও।’
অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিততে হলে এখন অভাবনীয় কিছু করে দেখাতে হবে ইংল্যান্ডকে। ২-০তে পিছিয়ে থেকেও অ্যাশেজ জয়ের নজির আছে মাত্র একটি। স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অস্ট্রেলিয়া এই অসাধ্য সাধন করে ১৯৩৬-৩৭’র সিরিজে। ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়ের হিসাব পরে, সিরিজটা তারা জমাতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ২৬শে ডিসেম্বর বক্সিং ডে টেস্টেই।