ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অসম্মান করায় ইংল্যান্ড টেস্ট দলের অধিনায়ক জো রুটের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ ক্যারিবীয় তারকা ক্রিকেটার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
অ্যান্টিগা টেস্ট শেষ হওয়ার বেশ আগেই স্পষ্ট হয়ে যায় ম্যাচের ফল। ম্যাচ নিশ্চিত ড্রয়ের পথে এগোলেও আগেভাবে ড্র মানতে চাননি ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। অবশ্যম্ভাবী ফলটি তিনি মেনে নেন স্রেফ শেষ দিনের শেষ ওভারে।
ইংল্যান্ড অধিনায়কের এই আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ক্যারিবীয়ান অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।
অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ ড্র করে ফেলে বেশ সহজেই। যদিও একসময় বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ম্যাচে। শেষ দিনে ৭১ ওভার টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ ছিল ক্যারিবিয়ানদের। ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পর তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ৮ রানের মধ্যে। ম্যাচে বাকি ছিল তখনও ৩৬ ওভারের বেশি।
তবে এনক্রুমা বনার ও জেসন হোল্ডারের দৃঢ়তায় আর কোনো উইকেট হারায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ড্রয়ের সময় ৬ উইকেট অক্ষতই ছিল তাদের।
এই জুটি জমে ওঠার পর ড্র মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, দুই দলের অধিনায়ক একমত হলে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগেই ড্র মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এ দিন রুট তা মানতে চাননি। অপেক্ষা করেন তিনি শেষ ওভার পর্যন্ত।
তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রাথওয়েট বলেন, আমি যদি ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট কিংবা ড্রেসিংরুমের অন্য কোনো সিনিয়র খেলোয়াড় হতাম, শেষ ঘণ্টায় তাহলে অস্মানিত বোধ করতাম, যেখানে দুই জন থিতু ব্যাটসম্যান ওভাবে ব্যাট করছে, উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছুই নেই, সেখানে ইংল্যান্ড ভেবেছে তারা বুঝি শেষ দশ, নয়, আট, সাত, ছয় বলেও ছয় উইকেট নিতে পারবে… পাঁচ বল বাকি থাকা পর্যন্ত খেলেছে।
তিনি আরও বলেন, বড় দল হয়ে উঠতে চাইলে বড় দলের মতো করেই ভাবতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ হয়তো এখনও সেই জায়গায় নেই, কিন্তু সেই মানসিকতা থাকতে হবে যে, ইংল্যান্ড কি এই কাজটা অ্যাশেজে সিরিজে করত? কিংবা নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে করত? আমার ধারণা, উত্তরটা হবে, ‘না।’ তাহলে তারা কেন আমাদের সঙ্গে করল?