Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeধর্মআশুরায় যে আমলে রিজিকে বরকত আসে

আশুরায় যে আমলে রিজিকে বরকত আসে

হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। মহররমের ১০ তারিখকে আরবিতে ‘আশুরা’ বলা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি অত্যন্ত সম্মানিত দিন। জাহিলি যুগেও মক্কার কুরাইশদের কাছে এই দিনটি বিশেষ মর্যাদার ছিল।

এই দিনকে সম্মান জানিয়ে সেদিন তারা কাবাঘরে নতুন চাদর পরাত এবং তারা সেদিন রোজা রাখত। মূলত তারা ইবরাহিম (আ.)-এর অনুসরণে এই দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করত। কুরাইশরা ইবরাহিম (আ.)-এর আদর্শের নামে যে সৎকাজ করত, রাসুল (সা.) তাতে সম্মতি দিতেন ও অংশগ্রহণ করতেন, তাই তিনি কুরাইশদের সঙ্গে হজে অংশগ্রহণ করতেন ও আশুরার রোজা রাখতেন; কিন্তু অন্যদের এর নির্দেশ দেননি। (বুখারি, হাদিস  : ১৮৯৩)

পবিত্র আশুরার দিনের আরেকটি আমল হচ্ছে, এই দিনে পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণে উদারতা দেখানো। শরিয়ত এই দিনে পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য, পানীয় ও ভরণপোষণের ক্ষেত্রে উদার হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। এই উদারতার বরকতে আল্লাহ তাআলা সারা বছর উদার জীবিকার দ্বার খুলে দেবেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিনে তার পরিবার-পরিজনের খাবার ও পানীয়ের ক্ষেত্রে উদারতা এবং প্রশস্ততা করবে, আল্লাহ তাআলা পুরো বছর তার রিজিকে প্রশস্ততা দান করবেন। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব : ২/১১৫)

আল্লামা ইবনে ওয়াইনাহ (রহ.) বলেন, আমি ৫০ বা ৬০ বছর যাবত এর পরীক্ষা করে দেখেছি, কল্যাণ ছাড়া কিছু পাইনি। (কাশফুল কানায়া : ২/৩৯৩)

ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রহ.) বলেন, আমি এটি পরীক্ষা করে সঠিক পেয়েছি। (আল ইস্তেজকার : ১০/১৪০)

তাই আমাদের উচিত পবিত্র আশুরার দিনে সামর্থ্যমতো পরিবারের সদস্যদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করা।

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক, মদিনাতুল উলুম মাদরাসা

বসুন্ধরা, ঢাকা

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments