সোনালী যুগের নায়িকা অঞ্জনা। দীর্ঘ সময় এই অভিনেত্রী রুপালি পর্দায় নিজের অভিনয়ের মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। শুধু অভিনয়েই নয়, নাচের উপর অসাধারণ দখল তার। অভিনয় ও নাচে অর্জন করেছেন জাতীয় পুরস্কার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে তার একাত্মতা। বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? অঞ্জনা বলেন, অনেক ভালো আছি সবার দোয়ায়।
ব্যস্ততা কি নিয়ে এখন? এ অভিনেত্রী বলেন, আমাদের মত সিনিয়র শিল্পীদের ভেবে কেউ সিনেমা নির্মাণ করেন না। তাই অভিনয়ের ব্যস্ততা নেই বললেই চলে।বলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দেখবেন সেখানে আজও অমিতাভ বচ্চন, রেখা, হেমা মালিনির মতো শিল্পীদের বয়স উপযোগী গল্প তৈরি হচ্ছে এবং সেসব শিল্পীর আজও অভিনয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু দুঃখজনক আমাদের সিনেমার বর্তমান দৃশ্যপট ঠিক তার বিপরীত। অঞ্জনা আরো বলেন, সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে নতুন সিনেমাগুলি দেখতে হয়, মতামত দিতে হয়।
এর বাইরে বর্তমান শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে শিল্পীদের ভালো-মন্দ দেখছি। চলচ্চিত্র কিভাবে আবার অতীতের মত সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় সেই মিটিং কিংবা আলোচনায় সময় দিচ্ছি। বর্তমান কমিটিতে আপনি অন্য প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হয় কি?
উত্তরে তিনি বলেন, একদমই না। সমিতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু আমাদের সবার বড় পরিচয় আমরা শিল্পী। সবাই একই সূত্রে গাঁথা। এখানে নতুন, পুরাতন, বড়, ছোট কোন বিভাজন নেই। কাঞ্চন ভাই তো আমার পুরোনো কলিগ। এখানে কে কোন প্যানেল থেকে এসেছে বিবেচ্য নয়।
আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের মঙ্গলে কাজ করা। সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে ১০৩ জন শিল্পী ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছেন। বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন? অঞ্জনা বলেন, বর্তমান কমিটিকে অবশ্যই এর জন্য সাধুবাদ জানাই। এর আগে কি হয়েছে না হয়েছে সে নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। বরং অতীতকে পাশ কাটিয়ে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়াই জীবন। ভোটে বিজয়ী রোজিনার ছেড়ে দেওয়া পথে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রিয়াজ। তার প্রতি আপনার কি বার্তা থাকবে? এ অভিনেত্রী বলেন, অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তার সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করছি। একসঙ্গে আমরা শিল্প ও শিল্পীদের জন্য কাজ করে যাবো এটাই প্রত্যাশা।