পরোক্ষভাবে আবারও পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মন্তব্য করেছেন। অস্ট্রিয়া সফরে গিয়ে সোমবার জয়শঙ্কর পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে সন্ত্রাসের কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করেন। এদিন তিনি অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্দার শলেনবার্গের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করছিলেন। সেখানে জয়শঙ্কর বলেন, যেহেতু (সন্ত্রাসের) কেন্দ্র ভারতের খুব কাছে, তাই প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি অন্যদের জন্য সহায়ক হবে। সন্ত্রাসের ‘ক্রস-বর্ডার প্রাকটিস’ উল্লেখ করার পরই এ মন্তব্য করেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন ডন বলছে, সেখানে একই দিন তিনি অস্ট্রিয়ার জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম ওআরএফ’কে সাক্ষাতকার দেন। জেডআইবি ২ কর্মসূচিতে তার সাক্ষাতকার গ্রহণকারী উল্লেখ করেন, প্রাণকেন্দ্র শব্দটি খুব কূটনৈতিক শোনায় না। এর জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, (পাকিস্তানের জন্য) এই প্রাণকেন্দ্রের চেয়ে কর্কশ শব্দ ব্যবহার করতে পারতেন তিনি। আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে যা ঘটছে তা বিবেনচায় নিয়ে আমি মনে করি প্রাণকেন্দ্র শব্দটি খুবই উত্তম একটি কূটনৈতিক শব্দ।
তার এসব বক্তব্যকে ভিত্তিহীন এবং অসাড় বলে বুধবার বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, জয়শঙ্করের এই বক্তব্য পাকিস্তানকে হেয় করা ও বিচ্ছিন্ন করতে ভারতের প্রচেষ্টার ব্যর্থতার ক্রমবর্ধমান হতাশার প্রতিফলন।
এতে দাবি জানানো হয় যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে পাকিস্তান বিরোধী প্রচারণা অবশ্যই বন্ধ করেতে হবে। পাকিস্তানের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতকেই সন্ত্রাস, গোয়েন্দাগিরি এবং ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা বন্ধ করা উচিত। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরে প্রকাশিত গোপন দলিলের উদ্ধৃতি দেয়া হয়। এতে ২০২১ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে বলে বলা হয়। বিবৃতিতে পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাস উসকে দেয়ায় ভারত অনেক বেশি জড়িত বলে এর সমালোচনা করা হয়। একই সঙ্গে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় মদতে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া অনেক ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকার তথ্য তুলে ধরা হয় বিবৃতিতে।