“ভয় নেই এমন দিন এনে দেব
বনবাদাড় ডিঙিয়ে, কাঁটাতার পেড়িয়ে,
ব্যারিকেড পেরিয়ে, সাঁজোয়া গাড়ির ঝাঁক আসবে,
বেহালা, গীটার, বাঁশি, হারমোনিকা নিয়ে
শুধু তোমারি তোমারি দোড়গোড়ায়, প্রিয়তমা”।
তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা।
না আজকে এই গান আর শুনতে ভাল লাগছে না।সকালে ঘুম ভেঙে যায় মোবাইলের ঘনঘন ম্যাসেজের টুংটাং শব্দে।জেগে উঠে হাতঢ়ে মোবাইল কাছে নিয়ে দেখি বিশ্বের এক প্রান্তের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের খবর, হঠাৎ হঠাৎ জানান দিচ্ছে রুশ বাহিনীর সদম্ভ আগ্রাসন।এগারো দিন পার হতেই ইন্টারনেটের দৌলোতে সোস্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠছে একের পর এক বিভৎস ধংসের চেহারা।অবিরাম মিসাইল রকেট হানায় গুড়িয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের বহুতল বাড়ি কিংবা প্রাসাদপম সরকারি দপ্তর,স্কুল কলেজ ধর্মীয় স্হান।রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতালগুলোও।নিরীহ মানুষ দলে দলে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে একটু নিরাপদ আস্হানার সন্ধানে।এরা কেউ আমার ভাই আমার বন্ধু আমার মা আমার বোনের মতো।হোক না তারা হাজার হাজার মাইল দুরের অচেনা অজানা দেশের মানুষ।তবুও তো মানুষ ওরা।আর সেই কারণে আমাদেরও সহ নাগরিক।কি দোষ করেছে এই অসহায় নিরীহ নাগরিকরা।মাত্র কিছুদিন আগেও যাদের সুখের সংসার ছিল পরিবার ছিল সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচার পূর্ণ অধিকার ছিল আজ তারা কোন অপরাধে এতো অসহায় এতো নির্যাতিত অত্যাচারিত?যেখানে শৈশব থেকে কৈশোর অবাল বৃদ্ধবনিতা সবার বাঁচার অধিকার কেড়ে নিয়েছে রাশিয়ার মতো ফ্যাসিস্ত দেশ ?মনে পড়ে যায় কবীর সুমনের আরও একটা গান
,”সাড়া দাও
ফড়িং এর ডানাতেও এ জীবন দেয় ডাক
বেঁচে থাক সব্বাই,হাতে হাত রাখা থাক
সাড়া দাও,,,
সাড়া দাও,সাড়া দাও
সাড়া দাও,সাড়া দাও
উদাসীন থেকো না,সাড়া দাও”
তাই রুশ জল্লাদের হাতে যখন পিঁপড়ের মত দুরমুশ হচ্ছে গোটা ইউক্রেন,যখন প্রতিটি ইউক্রেন বাসী বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন তখন অন্যপ্রান্তে বিশ্ববাসী ঘুমোচ্ছে।এত উদাসীনতার নির্মমতা আমাদের গ্রাস করবে এ ভাবনা কখনো কল্পনাতেও আসেনি।
প্রতিবেদন-শুভাশিস ঘোষ,সংবাদ সোচ্চার. কম