ভারতের উত্তর প্রদেশের মুসলিম রাজনীতিক আতিক আহমেদের মতোই মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সমাজবাদী পার্টি (এসপি) নেতা আজম খান। এক সময় রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের এমপি এবং রামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আজম সম্প্রতি দলের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘কী চান, আমাকেও কেউ এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলুক?’
রামপুর পৌর নির্বাচনে এসপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন আজম। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায়নি তাকে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রামপুরে বিজেপির চিত্রতারকা প্রার্থী জয়াপ্রদাকে ১ লাখ ৯ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন আজম। আজম পেয়েছিলেন প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট। জয়াপ্রদা ৪২ শতাংশ। এর পর চলতি বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে রামপুরে প্রার্থী হন আজম। প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীর সাথে তার ভোটের পার্থক্য ছিল ৫৫ হাজারেরও বেশি।
বিধানসভা ভোটে জেতার পর পার্লামেন্ট সদস্যপ পদ ছাড়েন তিনি। কিন্তু ২০২১ সালের জুন মাসের উপনির্বাচনে রামপুর লোকসভা কেন্দ্রে সমাজবাদী প্রার্থী মহম্মদ আসিম রাজাকে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে হারান বিজেপির ঘনশ্যাম সিংহ লোধি। তবে উপনির্বাচনেও আজমের বিধানসভা কেন্দ্র রামপুরে এগিয়ে ছিলেন সমাজবাদী প্রার্থী। ২০২২ সালে রামপুর কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনে এসপি প্রার্থী মোহম্মদ আসিম রাজাকে পরাজিত করে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী আকাশ সাক্সেনা।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রামপুরের জেলাশাসক অনুজেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতার অভিযোগেই সাজা হয় আজমের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (গোষ্ঠীগত শত্রুতা বাড়ানো), ৫০৫-১ (প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে অস্থিরতা সৃষ্টি)-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। এই রায়ের জেরে বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায় তার।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা