Friday, September 22, 2023
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকআইএসের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করলো তালেবান বাহিনী

আইএসের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করলো তালেবান বাহিনী

আফগানিস্তানের তালেবান নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী কাবুলের গোপন আস্তানায় রাতভর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে  ইসলামিক স্টেটের দুই প্রধান কমান্ডারকে হত্যা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে প্রায় ৩,০০০ আইএস যোদ্ধা কাজ করছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তার কয়েক ঘণ্টা আগে আআইএসের শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যার ঘটনাটি সামনে আসে। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ গভীর রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন যে,  নিহতদের মধ্যে আফগানিস্তানে দায়েশের গোয়েন্দা ও অপারেশন প্রধানও ছিলো,  তিনি নিহত সন্ত্রাসী নেতাকে ক্বারি ফতেহ বলে শনাক্ত করেছেন। দায়েশ বা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে), ইসলামিক স্টেটের একটি আফগান সহযোগী এবং একটি প্রধান তালেবান প্রতিপক্ষ। মুজাহিদ বলেন, কাবুলে কূটনৈতিক মিশন, মসজিদ এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে সাম্প্রতিক হামলার পরিকল্পনাকারী ছিল ফতেহ।  কাবুলে খেরখানা আবাসিক এলাকায় একটি জটিল অভিযানের সময় আইইএ (আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেট) বিশেষ বাহিনী ফতেহর  নৃশংস কর্মকাণ্ডের বিচার করেছে।

আইএস-কে তাদের শীর্ষ নেতার মৃত্যু নিয়ে  তালেবানের দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি। মুজাহিদ তার বিবৃতিতে  নিশ্চিত করেছেন যে, এই মাসের শুরুতে একটি  সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় উপমহাদেশের আইএস-কে প্রধান ইজাজ আমিন আহাঙ্গার এবং তার দুই কমান্ডারকে হত্যা করেছে তালেবান ।এছাড়াও  সাম্প্রতিক দিনগুলিতে  বিদেশিসহ বেশ কয়েকজন দায়েশ সদস্যকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র।আইএস-কে গত সপ্তাহে আবু উসমান আল-কাশ্মীরি নামে পরিচিত আহাঙ্গারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে যে,  ১৪ফেব্রুয়ারি তালেবানদের সাথে সংঘর্ষে আল-কাশ্মীরি নিহত হয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সৈন্যরা দেশ থেকে প্রত্যাহার করায় ২০২১ সালের আগস্টে কাবুলে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবানরা পর্যায়ক্রমে আইএস-কে-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি নিয়মিতভাবে দেশের বেসামরিক নাগরিক, তালেবান সদস্য এবং বিদেশী কূটনৈতিক মিশনকে লক্ষ্য করে  আক্রমণ শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইএস-কে ইসলামিক স্টেটের একটি “বিপজ্জনক” সহযোগী হিসাবে বর্ণনা করে উল্লেখ করেছে যে, আইএস এবং অন্যান্য আঞ্চলিকভাবে কেন্দ্রীভূত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি একটি সক্রিয় উপস্থিতি  বজায় রেখেছে এবং আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ”আইএস-কেতে মোটামুটিভাবে ২ থেকে ৩ হাজার যোদ্ধা রয়েছে, যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। যদিও তালেবান সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোকে আফগানিস্তানের মাটি  ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে  তালেবানের আল-কায়েদা  এবং আইএসআইএস-কে-কে বহিরাগত অভিযান চালানো থেকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা  নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনও তালেবানদের আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি।  তাদের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানো, নারীদের উপর শিক্ষা ও কাজের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছে। তালেবানরা তাদের শাসনকে  ইসলামিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে । তারা আফগানিস্তানে হাজার হাজার আইএস-কে যোদ্ধার উপস্থিতিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

সূত্র : voanews.com

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments