উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরাতে লন্ডনের আদালতে চার সপ্তাহব্যাপী শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিনধার্য করেছেন বিচারক। আগামী বছরের শুরুতেই এ রায় ঘোষণা করা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আগামী ৪ জানুয়ারি এ রায় ঘোষণা করা হবে।’
আদালতের বিচারক ভেনেসা বারিতসার গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান। এদিকে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরানো হলে তার সুবিচারের ব্যাপারে বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তার আইনজীবীরা। রাজনৈতিকভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলেও তারা দাবি করেন।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা শুরু থেকেই তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাবর্তন করা হলে তাকে ‘সামরিক বন্দী’ বানানো হবে। এতে অ্যাসাঞ্জকে আরও আত্মঘাতী করে তুলবে।
গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে মার্কিন গোপন নথি সংগ্রহ ও প্রকাশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১৭টি এবং হ্যাকিংয়ের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের ‘গুপ্তচরবৃত্তি আইন-১৯১৭’ এর আওতায় তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
‘ডেমোক্রেসি নাউ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেনিফার রবিনসন বলেন, ‘এ অভিযোগগুলোর মাধ্যমে গণমাধ্যম বিদ্বেষী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মূলত সাংবাদিকতাকেই চপেটাঘাত করছেন।’ তিনি বলেন, ‘তার (অ্যাসাঞ্জ) বিরুদ্ধে হ্যাকিংয়ের মামলার দায়ের করা হয়েছে। অথচ এর কোনো প্রমাণই নেই।’
গত বছরের এপ্রিল থেকে তাকে যুক্তরাজ্যের বেলমারশ কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বিচারিক প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। গত চার সপ্তাহ ধরে মামলার বেশকিছু সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে তার ১৭৫ বছর জেল হতে পারে।