হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে প্রচুর পরিমাণে সদকা করতেন। হাদিসের বর্ণনানুযায়ী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কল্যাণের কাজে ছিলেন সর্বাধিক দানশীল, বিশেষভাবে রমজান মাসে। তার দানশীলতার কোনো সীমা ছিল না। কেননা, রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তিনি তাকে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। যখন হজরত জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি কল্যাণের জন্য প্রবহমান বায়ুর চেয়েও বেশি দানশীল হতেন।’ -সহিহ বোখারি : ৪৯৯৭
তাছাড়া বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের চড়াদামের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ। বলাবাহুল্য, বেশিরভাগ দ্রব্য অসহায় গরিবদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, অনেকে অর্থের অভাবে রমজান মাসের সাহরি ও ইফতার কেনার পরিস্থিতি নেই। কারণ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই দিনে অধিকাংশেরই নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা। সুতরাং বর্তমান আর্থিক টানাপড়েনের এই মাসে দুস্থ, অসহায় গরিবদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। দানের হাত সম্প্রসারিত করা দরকার।