Sunday, September 24, 2023
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USA‘অশ্লীল’ আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্যের স্কুলে বাইবেল নিষিদ্ধ

‘অশ্লীল’ আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্যের স্কুলে বাইবেল নিষিদ্ধ

‘অশ্লীলতা’ ও ‘সহিংসতার’ কথা রয়েছে অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল থেকে বাইবেল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে কিং জেমসের বাইবেলে ‘শিশুদের জন্য উপযোগী নয়’ এমন বিষয় রয়েছে বলে একজন অভিভাবকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেয় রাজ্যটির সল্ট লেক সিটির ডেভিস স্কুল ডিস্ট্রিক্ট। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে লাইব্রেরির তাক থেকে বাইবেলের সাত বা আটটি কপি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এক অভিভাবক অভিযোগটি করেন। তাঁরা বলেছেন, এই ধর্মীয় বইটি বা বইয়ের কোনো অংশ শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে ছিল না।

তবে বাইবেল সরিয়ে নেওয়ার কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ। বাইবেলের ঠিক কোন অংশটিতে ‘অশ্লীলতা বা সহিংসতা’র কথা রয়েছে সেটিও বলা হয়নি। 

অভিভাবকের অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সংবাদপত্র সল্ট লেট ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগে বলা হয়েছে, কিং জেমস বাইবেলে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধের কিছু নেই। কারণ আমাদের নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী এটি ‘অশ্লীল’। ২০২২ সালের বই নিষিদ্ধকরণ আইনের কথাও এতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

 ২০২২ সালে স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রম থেকে ‘পর্নোগ্রাফিক বা অশালীন’ বই নিষিদ্ধ করতে একটি আইন করে উটাহ অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সরকার। এই আইন মেনে যত বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বেশির ভাগ বই–ই যৌন অভিমুখ এবং ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কিত। 

বাইবেল নিষিদ্ধের ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে রক্ষণশীলেরা এলজিবিটি অধিকার এবং জাতিগত পরিচয় সম্পর্কিত বিষয়ে পাঠদান নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আপত্তিকর বিবেচনায় এরই মধ্যে টেক্সাস, ফ্লোরিডা, মিসৌরি এবং সাউথ ক্যারোলাইনায় একাধিক বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অপরদিকে কিছু প্রগতিশীল অঙ্গরাজ্যে কিছু বিদ্যালয় এবং পাঠাগার থেকে বর্ণবাদী বিষয় রয়েছে এমন অভিযোগে বই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 

 ২০২০ সালের আইনটি যিনি লিখেছিলেন উটাহ অঙ্গরাজ্যের সেই আইন প্রণেতা বাইবেল অপসারণের দাবিকে ‘ঠাট্টা’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করেছিলেন। তবে সাত দিন পর তিনি মত পরিবর্তন করে বলেছেন, শিশুদের জন্য এই ধরনের বই পড়ানোটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। 

আইনপ্রণেতা কেন আইভরি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমেরিকায়, বাইবেল সবচেয়ে বেশি পড়ানো হয় এবং মানুষ বোঝে। তবে সেটি বাড়িতে।’

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments