‘হিন্দুত্বের’ সাথে ‘জেহাদি’ মতাদর্শের তুলনা করেছিলেন ভারতের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ অযোধ্যা নিয়ে তার বইতে ওই মন্তব্য করা হয়। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর শুরু হয় বিতর্ক। সোমবার সালমান খুরশিদের নৈনিতালের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় একদল লোক। বাড়িতে আগুনও দেয় তারা।
লেলিহান শিখায় তার নৈনিতালের বাসভন জ্বলার কবি শেয়ার করেছেন স্বয়ং খুরশিদ। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জানালা দরজা পুড়ে ছাই। জানালার কাচ ঝনঝনিয়ে ভেঙে পড়ছে। আগুন নেভানোর জন্য দু’জনকে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।
খবর অনুযায়ী, কয়েক ব্যক্তি সোমবার খুরশিদের বাড়ির বাইরে স্লোগান ও পতাকা উত্তোলন করে।
সালমান খুরশিদের বইয়ের নাম ‘সানরাইজ ওভার অযোধ্যা, নেশনহুড ইন আওয়ার টাইমস’। বিজেপির অভিযোগ, ওই বইতে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দেয়া হয়েছে। মুসলিম ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, হিন্দুধর্ম আর হিন্দুত্ব একই জিনিস নয়। এরপর বিজেপি মন্তব্য করে, রাহুল হিন্দুধর্মকে ঘৃণা করেন।
খুরশিদ তার বইতে লিখেছিলেন, সন্ত আর মহাত্মাদের জন্য প্রসিদ্ধ সনাতন হিন্দুধর্মকে ঠেলে সরিয়ে এখন উগ্রবাদী চিন্তাধারা নিয়ে আসা হচ্ছে। যার সাথে মিল রয়েছে আইএস, বোকো হারামের মত সংগঠনগুলোর।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা শশী থারুর টুইটে লিখেছেন, “এটি অসম্মানজনক। সালমান খুরশিদ একজন রাষ্ট্রনায়ক যিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতকে গর্বিত করেছেন এবং সর্বদা অভ্যন্তরীণভাবে দেশের একটি মধ্যপন্থী, কেন্দ্রবাদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। আমাদের রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতার ক্রমবর্ধমান মাত্রাকে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের নিন্দা করা উচিত।
‘সানরাইজ ওভার অযোধ্যা, নেশনহুড ইন আওয়ার টাইমস’ বইটির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ গেরুয়া শিবিরের একাধিক রাজনৈতিক নেতা খুরশিদের নিন্দা করেছেন। দিল্লির দুই আইনজীবী বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের কাছে খুরশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অ্যাডভোকেট বিবেক গর্গ তার অভিযোগে খুরশিদের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র : পুবের কলম